ছবি: সংগৃহীত।
করোনা ভাইরাসের জন্য এখন সারা বিশ্ব আতঙ্কিত। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন সারা বিশ্বে। এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ভারতেও। করোনা ভাইরাস প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০১৯-এর শেষের দিকে চিনের ইউহান শহরে। সেখানে প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করে মানুষ। মারাও যায়। ধীরে ধীরে চিন এই ভাইরাসের সঙ্গে কিছুটা হলেও মোকাবিলা করে। তবে চিন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে এখন তাণ্ডব করছে এই ভাইরাস।
তবে চায়নার ইউহানে এখন লকডাউন উঠে গেছে । চায়নাতে ব্যাঙ, কচ্ছপ, বাদুর, বিড়াল, ইঁদুর, কুকুর এই সব জীবের মাংস খোলা বাজারে বিক্রি হয়। সেখানকার মানুষ এগুলো খায়। করোনা ভাইরাস ঠিক কোথা থেকে এসেছে তা এখনও পরিস্কার নয়। সেই কারণে লকডাউন না থাকলেও, মাংসের বাজার খোলা হলেও কুকুর ও বিড়ালের মাংস বিক্রি বন্ধ হল চায়নার শেনজেন শহরে। বিজ্ঞানিরা মনে করছেন কিছু জীব থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।
ইউহানের ওয়াইল্ড লাইফ মার্কেট আছে। যেখানে বাদুর, সাপ, বিড়াল, কুকুরের মাংস বিক্রি হত। সন্দেহ করা হচ্ছে এই সব জীব থেকেই হয়তো করোনার উৎপত্তি। তবে প্রমানিত নয়। কিন্তু সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবেই চিনের শেনজেন শহর এই কুকুর ও বিড়ালের মাংস বিক্রি এবং খাওয়া বন্ধ করলো। এই করোনা ভাইরাস এখনও পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৫ হাজার লোককে সংক্রমিত করেছে সারা বিশ্বে। এবং ৪৭ হাজারের উপরে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মে মাসের ১ তারিখ থেকে চিনে আর পাওয়া যাবে না কুকুর ও বিড়ালের মাংস ! চিনের শেনজেন সেন্টার ফর ডিসিস প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল বলছেন, যে পল্ট্রি, সি ফুড যথেস্ট আছে আমাদের দেশে। ওয়াল্ড অ্যানিমেল কেন খেতে হবে ? তাছাড়া পল্ট্রির মাংসে যা নিউট্রেশন আছে তাই যথেষ্ট শরীরের পক্ষে। শেনজেন শহরের এই পদক্ষেপ পশু প্রেমিদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।