Joy Jugantor | online newspaper

পশ্চিম উপকূলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ

ডেস্ক রিপোর্ট 

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ১৪ জুলাই ২০২৫

পশ্চিম উপকূলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ

পশ্চিম উপকূলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম উপকূলের আল-মাজরা আল শারকিয়া স্কুলের উঠোন কার্যত একটি শোকসভায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা সেখানে একসঙ্গে বসে শোক জ্ঞাপন করছেন। 

গত শুক্রবার এই অঞ্চলেই ২০ বছরের সায়ফোল্লাহ মুসাল্লেত এবং ২৩ বছরের মোহাম্মেদ আল-শালাবির উপর আক্রমণ চালায় পশ্চিম উপকূলের ইসরায়েলি বাসিন্দারা। সায়ফোল্লাহ মার্কিন নাগরিক। তার বাড়ি ফ্লোরিডায়। শুক্রবার তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। অন্যদিকে শালাবিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ, আহত অবস্থায় তাদের দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি।  

শালাবির বাবা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালেই ও আমায় জানিয়েছিল, বিয়ে করতে চায়। সেই মতো আমরা একটি পরিবারের সঙ্গে কথাও বলতে শুরু করেছিলাম। আর এখন ওকে কবর দিচ্ছি।গত জুন মাসেই ২০ কিলোমিটার দূরের টাম্পা থেকে রামাল্লাহ-তে এসেছিলেন শালাবি। গরমে পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য এসেছিলেন তিনি।  শালাবির আত্মীয় ডায়ানা হালুম জানিয়েছেন, আমরা একসঙ্গে গোটা ফিলিস্তিন ঘুরেছি। এমন কিছু যে ঘটতে পারে, কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।

এদিকে পশ্চিম উপকূলের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার শালাবিকে মারার পর তারা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা তারা কোনো অ্যাম্বুল্যান্স পাননি। শালাবি যাতে কোনোরকম চিকিৎসা পরিষেবা না পায়, তার জন্য আক্রমণকারীরা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল। শেষপর্যন্ত যখন অ্যাম্বুল্যান্স আসে, ততক্ষণে শালাবির মৃত্যু হয়েছে।  অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, পশ্চিম উপকূলে তাদের এক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আপাতত কোনো মন্তব্য করা হবে না বলে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে। জানানো হয়েছে, পরিবার সবরকম সাহায্যের জন্য কনসুলেটের সাহায্য পাবে। 

পশ্চিম উপকূলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার নামাজের পর ফিলিস্তিনিদেরএকটি দল রাস্তায় জমায়েত করেছিল বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। পশ্চিম উপকূলে তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, এই অভিযোগে ওই জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। ইসরায়েলের অভিযোগ, ওই বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি নাগরিকদের উপর পাথর ছুড়েছিল। এরপরেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু হয়। তারপরেই আক্রমণ চালানো হয় ওই দুই যুবকের উপর।