মাশালা টাইপের সিনেমায় কাজ করতে চান মন্দিরা
ঢাকাই সিনেমার এই সময়ের নায়িকা হলেও খুব অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। জনপ্রিয় এই নায়িকা ছোটবেলা থেকেই নিজেকে নায়িকা ভাবতেন। এমনকি তার কাছের বন্ধুরাও তাকে নায়িকা বলেই ডাকতেন। যদিও ছোটবেলা থেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে নিজেকে বিকশিত করে আসছিলেন মন্দিরা।
২০১২ সালে নৃত্য প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘সেরা নাচিয়ে’তে অংশ নিয়ে হয়েছিলেন রানার্স আপ। এরপর নাচের পাশাপাশি নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে আসছিলেন। এরপর ‘কাজলরেখা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মন্দিরার। এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া তার সিনেমা ‘নীলচক্র’ প্রশংসিত হয় দর্শকমহলে; আর সেইসঙ্গে অনুরাগীদেরও প্রিয়মুখে পরিণত হন এই নায়িকা।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে নতুন করে আবারও শরীফুল রাজের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন মন্দিরা। রোববার (১৩ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে জানান,একটি নয়, সাতটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি, কোন গল্প দিয়ে নতুন ছবির শুটিং শুরু করবেন।পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্দিরা বলেন, এখনই তা প্রকাশ করতে চাই না। কথাবার্তা চূড়ান্ত হোক, তবেই ধীরে ধীরে জানাবো।‘নীলচক্র’ মুক্তির পরের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্দিরা বলেন, আমার কাছে সাতটি ছবির প্রস্তাব এসেছে। গল্প শুনেছি, শুনছি।
এর মধ্যে চারটি ছবিতে শরীফুল রাজকে নায়ক হিসেবে ভেবেছেন পরিচালক। অন্য তিনটির মধ্যে প্রথম সারির দুজন নায়ক রয়েছেন। আমি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছি। চাই, যেটা করবো, সেটা নিয়ে যেন আলোচনা হয়, সমাদৃত হয়।মন্দিরা আরও যোগ করেন, একদম মাশালা টাইপের সিনেমায় কাজ করতে চাই। আমি নাচের মেয়ে। এখন পর্যন্ত যেসব ছবিতে অভিনয় করেছি, তেমনভাবে নাচের মুনশিয়ানা দেখানোর সুযোগ পাইনি। আমি যেমন পিওর রোমান্টিক গানে পারফর্ম করতে চাই, তেমনি আইটেম গানেও নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।
অন্যদিকে দর্শকেরও মন্দিরার প্রতি কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। তাদের মতে, মন্দিরা সুন্দরী ও আবেদনময়ী- এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে অভিনয়ে আরও উন্নতি দরকার। মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার একজন নায়িকার মধ্যে যা যা থাকা দরকার, মন্দিরার মধ্যে সেগুলোর বেশির ভাগই আছে। অভিনয়দক্ষতা বাড়ালে তিনি আরও অনেক দূর যেতে পারবেন।এই আলোচনা-সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন মন্দিরা। তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো মানুষই শতভাগ পারফেক্ট নন।
একজনের কোনো দিক ভালো তো অন্যদিক তুলনামূলক কম ভালো। দর্শক আলোচনা–সমালোচনা করবেনই। আমি কখনোই ভাবি না যে সবাই আমাকে পছন্দ করবেন বা প্রশংসা করবেন। এটা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। বড় পর্দায় আমি একেবারেই নতুন। শেখার অনেক বাকি আছে। প্রতিনিয়ত শিখছি, শিখতে চাই আরও। দিন শেষে কেউ যখন বলেন, এখানে দুর্বলতা আছে, ওখানে দুর্বলতা আছে, আমি মনে করি, তারা আমার মঙ্গল চান বলেই এমন মন্তব্য করেছেন। যেন আগামী দিনে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারি। সমালোচনা মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।