
ছবি সংগৃহীত
ছোট বেলায় বইয়ের পাতায় জোর গলায় বার বার পড়তাম দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি, দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। আবার, দুই টাকা নোটের উপর দেখতাম দোয়েল পাখির ছবি।
নিত্য দিনে দোয়েল পাখির আনাগোনা ছিল সোনার বাংলার প্রকৃতিতে । বসতবাড়ির আশেপাশে, ঘরের চালে, দেয়ালের ফাঁকে, মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে, গাছের ডালে ডালে, বন- জঙ্গলে, দোয়েল পাখির ছোটাছুটির দৃশ্য ছিল বড়ই দৃষ্টি নন্দন ।
ভোর বেলায় সূর্যে ওঠার সাথে সাথে দোয়েল পাখির সুমধুর শিসে ঘুম ভাঙ্গতো মানুষের। সবুজ প্রকৃতি জুড়ে ছিল দোয়েল পাখির বিপুল সমাহার। দোয়েল পাখি ছিল সুরের পাখি। মিষ্টি সুরে মানুষের মনকে বিমোহিত করতো পাখিটা। মাটিতে যখন দোয়েল পাখি নেচে নেচে চলতো দেখতে তখন ভীষন ভালো লাগতো। দোয়েল পাখির আনাগোনায় প্রকৃতি যেন আরো সৌন্দর্যময় হয়ে উঠতো। দোয়েল পাখি ছিল কৃষকের উপকারি বন্ধু। ফসল বিনষ্টকারী পোকামাকড় ছিল দোয়েল পাখির প্রধান খাদ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই ইতিহাস ঐতিহ্য স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকা দোয়েল পাখি বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার পথে।
দোয়েল পাখি হারিয়ে যাওয়ার বিশেষ কারন গুলো হচ্ছে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, পরিবেশ দূষণ, ক্ষেত খামারে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পাখি দোয়েল।