
সংগৃহীত ছবি।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি বাতিল চেয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদন দিয়েছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক টিম প্রধান আনোয়ারুল ইসলাম।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন স্বরুপ তিনি পরবর্তীতে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির বাতিল চেয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন (লাল)।
রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক টিম প্রধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিনের (লাল) নেতৃত্বে একটি সক্রিয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি চলমান থাকা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। আহ্বায়ক কমিটির সাথে যুক্ত একাধিক নেতৃবৃন্দের বিএনপি-জামায়াত এর সাথে সম্পৃক্ততা, জেলখাটা তালিকাভুক্ত আসামী, মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রয় থেকে শুরু করে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, আহ্বায়ক কমিটির সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশই কম বয়সের। এ ছাড়া এই আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের লক্ষ্যে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বগুড়া-৫ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমানসহ সম্মুখসারির নেতৃবৃন্দরাও সুপারিশ করেছেন।
এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় এই নেতা দ্রুততম সময়ে বগুড়ায় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এর সম্মেলন আয়োজন অথবা জেলার নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে পুরাতন কমিটিকেই পুনরায় বাস্তবায়ন করার কথা বলেন এবং তিনি সুপারিশ করেন আগের যে পূর্নাঙ্গ কমিটি রয়েছে তাদের দায়িত্ব দিলেই সংগঠনের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন (লাল) আরো বলেন, জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকা সত্ত্বেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি গোষ্ঠী উক্ত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী যা অতিদ্রুত বাতিল করলে সংগঠনের কাজ আবারো গতিশীল হবে।