
ছবি সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি। উলটো নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখনো বন্যাকবলিত এলাকা সিরাজগঞ্জ, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর, এনায়েতপুরের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ায় কাদাপানির মধ্যেই বসবাস করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে পানি এখন বিপত্সীমার ১২ দশমিক ৯০ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার। নদীর পানি বিপত্সীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসেন।
বানভাসি আফজাল, রাম চন্দ্র কুণ্ড, সুফিয়া বেগম ও হাসনা হেনা জানান, বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও এখনো কাদাপানির মধ্যে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এতে পেটের পীড়া, পায়ে ঘা, সর্দি এবং জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাছাড়াও রান্নাবান্নাসহ গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন তারা বিপাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর জানান, জেলার ৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে পানি ওঠায় অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার কারণে বন্ধ থাকা ৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলায় বন্যাকবলিত এলাকায় বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শাহজাদপুর সংবাদদাতা জানান, উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের কাশীনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৯ গ্রামের মানুষ। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে উত্পাদিত দুধ বাজারজাত করা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খামারিরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ ধীরগতিতে মেরামত কাজ চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনি বলেন, ভাঙনের পরিমাণ ও পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে।