
বক্তব্য রাখছেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।
বগুড়ায় নিজ ঘর থেকে আছিয়া বেওয়া নামে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ইয়াকুব আলী নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ইয়াকুব নিহত আছিয়ার নাতি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াকুব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এ কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযান চালিয়ে ইয়াকুবকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াকুব বগুড়া সদর উপজেলার বালাকৈগাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকার মিলন প্রামানিকের ছেলে।
নিহত আছিয়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ফকিরের স্ত্রী। তার নিজ ঘরেই তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ইয়াকুবের বাবা-মায়ের সঙ্গে নিহত আছিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সম্প্রতি আছিয়া ৩০ হাজার টাকায় একটি বকনা গরু বিক্রি করেন। এছাড়া রফিক নামের আছিয়ার এক আত্মীয় তাকে ৫ হাজার টাকা দান করেন। সবমিলে আছিয়ার কাছে ৩৫ হাজার টাকা ছিল। এসব কিছু জানতে পারেন তার নাতি ইয়াকুব। নানীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার সন্ধ্যায় নানির বাড়িতে আসেন ইয়াকুব। বাড়িতে এসেই নানী আছিয়ার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেযার কৌশল করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে রাতে আছিয়াকে ডিম ও সিগারেট নিয়ে আসতে দোকানে পাঠান ইয়াকুব।
পুলিশ সুপার বলেন, আছিয়া দোকানে গেলে পুরো ঘর তছনছ করে টাকার খোঁজ করতে থাকেন ইয়াকুব। দোকান থেকে ফিরে এসে আছিযা এ অবস্থা দেখতে পান। ওই সময় ইয়াকুব আছিয়ার কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না আছিয়া। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ড শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে ইয়াকুবের কাছে থাকা ধারালো বার্মিজ চাকু দিয়ে আছিয়ার গলায় আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আছিয়া ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে ইয়াকুব বাড়ির পাশে এক ডোবাতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ধারালো চাকু ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।