Joy Jugantor | online newspaper

আমদানি উন্মুক্ত না করায় কমছে না পেঁয়াজের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:০০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আমদানি উন্মুক্ত না করায় কমছে না পেঁয়াজের দাম

আমদানি উন্মুক্ত না করায় কমছে না পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজের বাজারে উধ্বমুখিতা কমছে না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরও পাইকারিতে দাম কমছে না। খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে কমিশনে পেঁয়াজ বেচাকেনা করেন বিক্রেতারা। সীমান্ত থেকে মুঠোফোনে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ চলে। পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করেনি। দেখেশুনে কিছু ব্যবসায়ীকে আমদানির জন্য আইপি দেওয়া হয়েছে। এতে বাজারে চাহিদা অনুপাতে পেঁয়াজ না আসায় দাম কমছে না।সম্প্রতি হঠাত্ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে দাম ক্রেতাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। ফলে পেঁয়াজ মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত শনিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেন। রবিবার থেকে আমদানি শুরু হয়। আমদানির খবরে কয়েক দিন পাইকারি বাজারে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে যায়। কিন্তু এখন আমদানির মধ্যেও দাম উর্ধ্বমুখী। গতকাল বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে আরো বাড়তি দামে বিক্রি চলছে।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করেনি। আইপি প্রদানের অনিয়ম হয়েছে। আমদানি সকল ব্যবসায়ীর জন্য উন্মুক্ত করে দিলে বাজারে দাম কমে যেত। এখন বাজারের চাহিদা অনুপাতে পেঁয়াজ আসছে না। সীমিত আকারে কয়েক গাড়ি পেঁয়াজ আসলে তা অল্প সময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো ১০ দিন সময় লাগতে পারে। ”বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জ, পাহাড়তলী, চাক্তাইসহ আরো কয়েকটি জায়গায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার রয়েছে। চট্টগ্রামে পেঁয়াজের কোনো আমদানিকারক নেই। সবাই কমিশনে বিক্রি করে থাকেন। গড়ে উঠেছে এক অসাধু চক্র। এতে সীমান্ত থেকে মোবাইল ফোনে চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম ‘ওঠানামা’ করানো হয়। প্রতি ঘণ্টায় দাম পরিবর্তন হয়। এতে সীমান্তে আমদানিকারক পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশীয় বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে বিক্রেতাদের অভিমত।

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে অনিয়ম ঠেকাতে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোক্তা অধিকারের এক কর্মকর্তা জানান পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ কেনাবেচার কোনো কাগজপত্র নেই। ইচ্ছামতো করে বিক্রি করছে। অনিয়ম করছে আমদানিকারকরা।খাতুনগঞ্জে দুই শতাধিক পেঁয়াজের আড়তদার ব্যবসায়ী রয়েছে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ-রসুনে পরিপূর্ণ। দেশীয় পেঁয়াজও বাজারে রয়েছে। সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু তারপরও দাম কমাচ্ছে না। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি পণ্য কমিশনে বাণিজ্যের মধ্যে ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ রয়েছে।