Joy Jugantor | online newspaper

সাবেক জামায়াত নেতার বাড়িতে হাতবোমা,নিষ্ক্রিয় করল বোম ডিসপোজাল ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:৪০, ৩ জুন ২০২৩

আপডেট: ০৫:১৩, ৩ জুন ২০২৩

সাবেক জামায়াত নেতার বাড়িতে হাতবোমা,নিষ্ক্রিয় করল বোম ডিসপোজাল ইউনিট

হাতবোমা নিষ্ক্রিয় করছে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এক সদস্য।

বগুড়া শহরে সাবেক জামায়াত নেতার বাড়িতে পাওয়া অবশিষ্ট বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এ নিয়ে ওই বাড়িতে মোট দুটি বোমার সন্ধান মিলে। পুলিশ জানায়, ওই দুটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিল।  

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে শহরের সূত্রাপুর এলাকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ওই বাড়ি সংস্কারের সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আব্দুল বাছেদ নামে এক শ্রমিক আহত হন। 

আব্দুল বাছেদ শাজাহানপুরের আতাইলের বাসিন্দা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে তার ডান হাত ঝলসে গেছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়িতে চলে গেছেন বাছেদ। 
বাড়িটির মালিক সেউজগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিনা আক্তার শিউলি। সেলিনার বাবা মৃত দুলাল হোসেন জামায়াত ইসলামের সাবেক নেতা ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে মারা যান। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেলিনা আক্তার তার মাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি এই বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। এ জন্য শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন বাড়িতে। সোয়া নয়টার দিকে বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে কয়েকটি বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান বাছেদ। সেগুলো নাড়াচাড়া করার সময় একটি বিস্ফোরণ হলে বাছেদের হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। আর পুলিশ এসে বাড়ির সবাইকে বের করে দেয়। 

তবে ঘটনার পর বাড়ির মালিক সেলিনা আক্তারকে পাওয়া যায়নি। 

সকালে মুন নামে এক প্রতিবেশি বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বের হয়ে দেখি সেলিনা আপাদের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। আর আহত শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন। 

জেলা পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির সিলিংয়ে দুটি বোমা মিলে। তার মধ্যে একটি সকালেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার জন্য ওই বাড়ির থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে ঢাকায় বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। তারা  বিকেলে এসে অপরটি নিষ্ক্রিয় করে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে ওই দুটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিল। বাড়িতে বোমা তৈরির কোনো কিছু পায়নি তারা। 

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, দুলাল হোসেন জামায়াতে নেতা ছিল এমনটাই জানা গেছে। তবে বিস্তারিত এখনও কিছু জানা যায়নি। আর ওই বাড়িতে বোমা কিভাবে আসলো সে ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করবে।