Joy Jugantor | online newspaper

নওগাঁয় ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেনি কোনো পরীক্ষার্থী

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৪ জুলাই ২০২৫

নওগাঁয় ২১৩টি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেনি কোনো পরীক্ষার্থী

নওগাঁয় ২১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেনি কোনো পরীক্ষার্থী

এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নওগাঁ জেলার ২১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেনি কোনো পরীক্ষার্থী। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত এবং মাদরাসা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সারা দেশের ন্যায় নওগাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এই তথ্য জানা যায়। জেলার ১১টি উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মোট ৭৭৩টি। এর মধ্যে একটি পরীক্ষার্থীও পাশ করেনি ২১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে।নওগাঁ জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার ৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমসংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করেনি ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে, মহাদেবপুর উপজেলার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২ টি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেনি কমসংখ্যক পরীক্ষার্থী। 

এছাড়াও বদলগাছী উপজেলার ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি, ধামইরহাট উপজেলার ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১টি, পত্নীতলা উপজেলার ৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টি, সাপাহার উপজেলার ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টি, পোরশা উপজেলার ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টি, নিয়ামতপুর উপজেলার ৭৫ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টি, মান্দা উপজেলার ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টি, রাণীনগর উপজেলার ৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টি এবং আত্রাই উপজেলার ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমসংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করেনি ২০ টি প্রতিষ্ঠান থেকে। 

এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসারে, কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত অবস্থায় থাকতে হলে প্রতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। পাসের হার বা শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হলে সেই প্রতিষ্ঠানটির এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারে।নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ বলেন, বিগত সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য নাম্বারে চেয়ে বেশি নাম্বার দেওয়ার কারণে তারা লেখাপড়া থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিল। কিন্তু দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর হঠাৎ করে তাদের অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়া বন্ধ হওয়ায় এমন ফল হয়েছে।তিনি আরও জানান, কমসংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ না করা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সিদ্ধান্ত নেবেন।