সোমা ঘোষ মণিকা ছবি: সংগৃহীত
সেই প্রাচীন মিশরীয় আমল থেকেই রূপচর্চায় রাজা-রাণীসহ অতি সাধারন মানুষ পর্যন্ত দ্বারসহ হয়েছে প্রকৃতির দুয়ারে। সৌন্দর্য বিচারে মানুষ সর্বাঙ্গে যেই অঙ্গটি বিশেষভাবে দেখে তা হচ্ছে মানুষের মুখমন্ডল। রাণী এলিজাবেথ বলেছেন" একটি সুন্দর মুখ সবচেয়ে ভালো সুপারিশ।" ঠিক তাই আগে তো দর্শনদারী তারপর গুন বিচারি। মুখমন্ডলের খের গর্ত বা ছিদ্র অনেকাংশেই আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য দায়ী। এই সমস্যা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে মুখের লোমকূপগুলো খুলে যায়। কারণ এতে কোলাজেন ড্যামেজড হয় ও লোমকূপের দেয়ালগুলোর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। জেনেটিক কারণো, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া, কম পরিমানে পানি পান করা, রাসায়নিক সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী ব্যবহার,স্ট্রেস এবং ত্বকের যত্ন না নিলেও লোমকূপ উন্মুক্ত হয়।
কিছু সহজ, স্বল্প মূল্যের ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে লোমকূপের খের বা গর্ত হওয়ার সমস্যাটি কমানো সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, সেই ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে- মুলতানি মাটি। হ্যাঁ মুলতানি মাটিকে “ফুলারস আর্থ” ও বলা হয় যা উন্মুক্ত লোমকূপের মুখগুলো বন্ধ করার জন্য উপকারী ও একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক প্রতিকার। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বকের এক্সফলিয়েট করে। এছাড়াও ত্বকের ক্ষত ও দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।
একই ভাবে উন্মুক্ত লোমকূপের কারণে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং বয়স বেশি দেখায়।তাই মুলতানি মাটি আপনার ত্বকের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে। মুলতানি মাটি ব্যবহারবিধি: দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটির গুড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। গোলাপ জল না পেলে জল/পানি কিংবা দুধ অথবা মধু দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এবার ভালোভাবে স্বাভাবিক ঠান্ডা এমন পানি দিয়ে মুখমন্ডল পরিস্কার করে নিন।
এবার মুলতানি মাটির পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৬ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবং তারপর অবশ্যই মুখে ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম ব্যবহার করবেন।মাটির এই মাস্কটি সপ্তাহে এক বা দুই বার ব্যবহার করুন।
মুলতানি মাটি আপনার স্কীনকে করবে চকচকে, মসৃন ও কোমল। যা অন্যদের তো বটেই আপনারও নজর কাড়বে শতভাগ।