ছবি সংগৃহীত
চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার মাঠপর্যায়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, গম, ভুট্টা ও আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৭ মেট্রিকটন বিভিন্ন সারের চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জীবন জীবিকার জন্য গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভুট্টা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে এসব ফসল ক্ষেতে সার প্রয়োগের সময় দেখা যায় সারের সংকট। সরকারি হিসেবে মজুদ থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত সারের দাম নিয়ে থাকেন। এতে করে প্রান্তিক কৃষকরা ফসল উৎপাদনে বাড়তি খরচের স্বীকার হন।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৪ মাসে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৭ মেট্রিকটন বিভিন্ন সারের চাহিদাপত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া ৬৯ হাজার ৬৮৫ মেট্রিকটন টিএসপি, ২৪ হাজার ৯৬৫ মেট্রিকটন এবং এমওপি ৩৭ হাজার ৯৩৭ মেট্রিকটন। বিসিআইসি’র ২১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব সার কৃষকদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় আজহার আলী নামের এক কৃষক বলেন, প্রত্যেক বছরে রবি মৌসুমে শাক-সবজি, বোরো ধান ও ভুট্টার আবাদ করে থাকি। গেল রবিতে সারের বাজারে নৈরাজ্যর সৃষ্টি হয়েছিল। ডিলারদের কারসাজির কারণে বাড়তি দামে সার কিনতে হয়েছে। এ বছর যেন সেটি না হয়, এ ব্যাপারের সংশ্লিষ্টদের নজদারি কামনা করছি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, এ বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া, ২ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ডিএপি এবং ১ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে। ডিলাররা যাতে করে কৃত্রিম সংকট না দেখাতে পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।