শনিবার রাতে লাইভে আসেন হিরো আলম।
হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। হিরোকে যারা তাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে। এমন কথা বলেছেন হিরো আলম নিজেই।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিজের অফিসিয়াল পেজ থেকে লাইভ করেন তিনি। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন হিরো আলম।
লাইভে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুল কাদের স্যার আজকে হিরো আলমকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। হিরো আলমকে নাকি বিএনপি ভোটে দাঁড়িয়ে দিয়েছে।’
আমার কথা আমাকে কেন বিএনপি দাঁড়িয়ে দিবে। ভোটের মাঠে আমার পাশে কি বিএনপির কাউকে দেখা গিয়েছিল।
বিএনপির নেতা ফখরুল ইসলাম স্যার বলেছেন, বর্তমান সরকার আজকে হিরো আলমের কাছে অসহায়। আমি বলতে চাই, আমি হিরো আলম যে অসহায় হয়েছি। এই প্রশ্নের জবাব কে দিবে। আমার ভোট যে কেড়ে নেয়া হলো তার প্রশ্নের জবাবা কে দিবে?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকের মন্তব্য প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের স্যার আরও একটি কথা বলেছেন, হিরো আলম এখন জিরো হয়েছে। এটা ভুল বলেছেন। হিরো আলমকে কেউ কোনো দিন জিরো বানাতে পারেনি। হিরোকে যারা তাকে জিরো বানাতে এসেছে, তারাই এখন জিরো হয়েছে।’
আলোচিত ইউটিউবার বলেন, হিরো আলম কারো কান্ধের ওপর ভর দিয়ে এখানে আসেনি। হিরো আলমকে হারানো হয়েছে এটা একটা প্লান, চক্র করে হারানো হয়েছে। হিরো আলমকে প্লান করে হারানো হয়েছে।
অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে...। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।
হিরো বলেন, আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে।
যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।
লাইভে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্রামেরা দেন। ইভিএম দিবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমের টিপি মারলে একটায় যায় আরেকটায়।’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দিবেন না আমাকে নিয়ে।’
১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। পরে সেদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।