Joy Jugantor | online newspaper

আদমদীঘিতে শ্রমিকের বিল পাবে অ্যাসকেভেটর, ঢুকবে কার পকেটে!

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ৬ মার্চ ২০২১

আদমদীঘিতে শ্রমিকের বিল পাবে অ্যাসকেভেটর, ঢুকবে কার পকেটে!

অ্যাসকেভেটর দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার আমইল-ইন্দইল এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ৬ কিলোমিটার খাল পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাগজে-কলমে এ কাজ শ্রমিক দিয়ে করানো হলেও বাস্তবে কাজ করছে অ্যাসকেভেটর (খনন যন্ত্র) মেশিন।

এতে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠি আপদকালীন কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের আমইল-ইন্দইল ৬ কিলোমিটার খাল খননের জন্য ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, অ্যাসকেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হলেও মজুরীর বিপরীতে দেখানো হচ্ছে শ্রমিক। বিল তুলতে ৩০০ শ্রমিকের ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। এসব দলপতিদের ব্যাংক হিসেব নম্বরে বিল আসবে । এছাড়া যেভাবে খনন কার্যক্রম করা হচ্ছে তাতে খালটি নালায় পরিনত হচ্ছে। ফলে শুস্ক মৌসুমে খাল সংলগ্ন মাঠের ৬০০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে স্থানীয়দের।

জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এলাকার দরিদ্র শ্রমিকদের মাধ্যমে খাল খনন করানোর কথা থাকলেও সেখানে অ্যাসকেভেটর মেশিনের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় নিয়মানুযায়ী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির (পাবসস) ৫ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি এ প্রকল্পের কাজ করবেন। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে আহবায়ক করে ১৩ ডিসেম্বর তিন সদস্যের (পাবসস) আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির মেয়াদকাল আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত । অর্থাৎ পূর্বের কমিটি বর্তমান কমিটিকে অবগত করে খনন কার্যক্রমে পরিচালনা করার কথা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। 

তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ বলছে, খনন কার্যক্রমে আহবায়ক কমিটির কোনো কাজ নেই। 

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও বর্তমান কমিটির আহবায়ক আব্দুস সালাম জানান, খাল খনন কার্যক্রম দেখভাল কে করছেন তিনি সে বিষয়ে অবগত নন। এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানান নি। কোন প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে সেসব বিষয়ে জানতে তিনি এলজিইডি দপ্তরের সাথে কথা বলতে বলেন। 

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাজেদুর রহমান বলেন, এ কাজের জন্য এলসিএস গঠন করা হয়েছে। খনন কার্যক্রমে আহবায়ক কমিটির কোনো কাজ নেই। শ্রমিক ও অ্যাসকেভেটর মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমেই খাল খনন হবে। বর্তমানে অ্যাসকেভেটর মেশিনের কাজ চলছে।