Joy Jugantor | online newspaper

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১২ জুলাই ২০২৫

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

রংপুরে নগরে একটি ছাত্রীনিবাস থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পার (২৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সর্দার পাড়ার আপন ছাত্রীনিবাস থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। টুম্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা।প্রেমঘটিত ঘটনার জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ধারণা করেছে পুলিশ।বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রবিউল আজম বলেন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা প্রক্টরকে অবহিত করি। পওর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এদিকে শিক্ষার্থী মৃত্যুর খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাংবাদিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ছবি ধারণের সময় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। কয়েকজনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়াসহ লাইভ বন্ধ করে দেয়া হয়। 

পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা সর্দার পাড়া ব্রিজের কাছাকাছি গেলে তাদের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন সাংবাদিকের শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা একটি দোকানের ভেতর গিয়ে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দ্যা ফাইন্যানশিয়াল পোস্টের সাংবাদিক নাহিদ বলেন, একজন সাংবাদিক যখন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন, সেটি শুধু ব্যক্তি নয় সমগ্র সংবাদ মাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-উর-রশীদ বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ নামানোর সময় সাংবাদিকরা ভিডিও করছিল। এনিয়ে শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা যায়। পরে বিষয়টি সুরাহা হয়েছে।