
বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি।
বগুড়া শহরে সাবেক জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে পড়ে থাকা ককটেল সদৃশ্য বিস্ফোরণে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে শহরের সূত্রাপুর এলাকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিকের নাম আব্দুল বাছেদ। তিনি শাজাহানপুরের আতাইলের বাসিন্দা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। মাঝেমধ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজও করেন বাছেদ।
বাড়িটির ওই এলাকার সাবেক জামায়াত নেতা মৃত দুলাল হোসেনের। পরবর্তীতে তার মেয়ে সেলিনা আক্তার শিউলি মায়ের কাছে এই বাড়িটি ক্রয় করেন। সেলিনা শহরের সেউজগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক আব্দুর রউফ। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই বাড়ির মূল মালিক মৃত দুলাল হোসেন জামায়াতের নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাড়ির মালিক দুলাল হোসেন জামায়াতে ইসলামী দল করতেন। প্রায় আট বছর আগে তিনি মারা যান। পরে বাড়িটি ক্রয় করে সেলিনা আক্তার মাকে নিয়ে সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি এই বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন সেলিনা। এ জন্য শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন বাড়িতে। সোয়া নয়টার দিকে বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে কয়েকটি বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান বাছেদ। সেগুলো নাড়াচাড়া করার সময় একটি বিস্ফোরণ হলে বাছেদের হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। আর পুলিশ এসে বাড়ির সবাইকে বের করে দিয়েছে।
তবে ঘটনার পর বাড়ির বর্তমান মালিক সেলিনা আক্তারকে পাওয়া যায়নি।
মুন নামে এক প্রতিবেশি বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বের হয়ে দেখি সেলিনা আপাদের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। আর আহত শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন।
এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিম আসবে বলে জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার।
তিনি বলেন, সূত্রাপুরের এই বাড়িতে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটি কী ধরনের ব্স্তু তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে সেখানে দুটি গোলাকার বস্তু দেখা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা রওয়ানা দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তার খাতিরে ওই বাসার সবাইকে অনত্র চলে যেতে বলেছি। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও খোঁজখবর করা হচ্ছে।