
আবহওয়ামান কাল থেকে শুরু হওয়া ভাদ্র মাস আসলেই পাঁকা তালের সৌরভ যেন মুখরিত হয়ে ওঠে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামঅঞ্চল। পূর্ব বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে শুরু হয় বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী তাল পিঠার আয়োজন। এ সময় গৃহিনীরা পাঁকা তালের রস দিয়ে সুস্বাদু বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীসহ নিজ বাড়ীতে ধুম পরে যায় পিঠা তৈরীতে।
কিন্তুু বর্তমানে কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী এই তাল বড় হওয়ার সাথে সাথে কাঁচা তাল বিক্রি করার কারণে পাঁকা তালের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে তালের মূল্যও বৃদ্ধি হওয়ায় উচ্চমূল্য দিয়ে বাপ-দাদার ঐতিহ্য ঠিক রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় ভোজন রসিক বাঙালিদের।
তাল বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, কিছু লোভী ব্যবসায়ী গাছের কাঁচা তাল ক্রয় করে হাটে বাজারে বিক্রি করে তাল খুর হিসেবে। এর কারণে পাঁকা তালের প্রচুর সংকট দেখা দেয় এবং হাটে বাজারে পাঁকা তালের আমদানীও কম হয়। ফলে দামও কিছুটা বেশি হয়। কিন্তু বাপ-দাদার পূর্বের ঐতিহ্য ঠিক রাখতে গিয়ে এখনও বেশী মূল্য দিয়ে তাল ক্রয় করে পিঠার আয়োজন করা হয়। বর্তমানে গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি পিস তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। গত তিন বছর আগেও বিক্রি হতো প্রতি পিস তাল ৫-১০ টাকায়।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, এই তাল সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।