
সোমবার দুপুরে শহরের বিয়াম ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স হলে।
বিএনপি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিলেও ভোট ২৮ জানুয়ারির মধ্যেই করতে হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। সংবিধান অনুযায়ী এই সময়ের বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বগুড়ায় এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন বেগম রাশেদা সুলতানা। সোমবার দুপুরে শহরের বিয়াম ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স হলে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা হয়।
অনুষ্ঠানে এক গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন, বিএনপি তা অন্যান্য দল নির্বাচনে আসলে ইসি পুনরায় তফসিল ঘোষণা করার কথা বলেছেন। কতোদিনের মধ্যে অন্যান্য বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে ইসি বিষয়টি বিবেচনা করবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা চাই নিবন্ধন পাওয়া সব দল অংশগ্রহণ করুক। এই কারণে যারা নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না তাদের আহ্বান করছি। আমরা এখনো আশাবাদী। উনারা (বিএনপি) আসবেন। যদি আসে তাহলে আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নিব। আসলে অবশ্যই আমাদের নির্বাচনী মেয়াদকালের মধ্যে আসতে হবে। তার বাহিরে যাওয়া যাবে না। কোনোভাবেই বিধিবদ্ধ সময় ২৮ জানুয়ারির বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটি সংবিধানের বিধান।’
নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা রাখার প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়ে আর কোনো কথা নেই আমাদের। কারণ সিসি ক্যামেরা দিলে ৪২ লাখ কক্ষে দিতে হবে। এক সাথে এতগুলো ক্যামেরা স্থাপনের সক্ষমতা কোনো কোম্পানির নেই।’
এ ছাড়া তিনি আরও জানান, নির্বাচনে সাংবাদিকরা কোনোভাবে হেনস্তা হলে অভিযোগসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ রাখার জন্য আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সক্ষমতা আছে। আর যদি প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনে উপস্থিত থাকবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে এই প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। প্রস্তুতি সভায় বগুড়া ছাড়াও সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাটের জেলা রিটার্নিং অফিসার, পুলিস সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার ৭ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩২১ এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ২৪ হাজার ২৩ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯৬৯টি। ভোট কক্ষ স্থায়ী ৫ হাজার ৮১৫টি ও অস্থায়ী ৪০৮ টি মিলে মোট ৬ হাজার ২২৩ টি কক্ষে ভোট দিবেন জেলাবাসী।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। এর মধ্যে বগুড়ায় মনোয়নপত্র বাছাইয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ ডিসেম্বর।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।