Joy Jugantor | online newspaper

ঘানি টানায় বৈচিত্র্য এনে স্বাবলম্বী হলেন শারমিন

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

ঘানি টানায় বৈচিত্র্য এনে স্বাবলম্বী হলেন শারমিন

স্বাবলম্বী শারমিন।

ঘানি দিয়ে মাড়াই করে সরিষার তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি এখনও রয়ে গেলেও, ঘানি টানায় এখন গরুর ব্যবহার কমে গিয়ে সেখানে জায়গা নিয়েছে যন্ত্র। 

এই পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এনে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সাড়া ফেলেছেন পাবনার উদ্যোক্তা শারমীন আক্তার। আর এই ঘানি শিল্পের প্রসারে ঋণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিসিক। 

সরিষার বীজকে পিষে তেল বের করার আদি পদ্ধতির নাম ঘানি টানা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিল্পটি বিলুপ্ত হতে শুরু করলেও আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আবারো সুদিনে ফিরেছে।

ঘানি ভাঙানো সরিষার তেলের রান্নায় যেমন স্বাদ বেশি হয়, তেমনি রান্না করা খাবারের পুষ্টিগুণ থাকে অক্ষুণ্ণ। সে কারণেই কাঠের ঘানি দিয়ে ফোটায় ফোটায় নিংড়ানো হতো সরিষার তেল।

এক সময় গরু দিয়ে টানা হতো এই ঘানি। যাকে বলা হতো কুলুর বলদ। কিন্তু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বৈচিত্র্য এসেছে ঘানিতে। রক্ত-মাংসের গরুর পরিবর্তে ঘানি টানা হচ্ছে বৈদ্যুতিক উপায়ে। 

ঘানির সাথে প্রযুক্তি এই সমন্বয় ঘটিয়েছেন পাবনার আট ঘরিয়ার গোকুলনগরের উদ্যোক্তা শারমীন। চাকরির পিছে না ছুটে, ছয়টি ঘানি নিয়ে গড়ে তুলেছেন ঘানিঘর। 

গরুর পরিবর্তনে ঘানি টানায় তিনি ব্যবহার করছেন যন্ত্রের। মোটরচালিত ঘানিতে অল্প সময়েই তৈরি হচ্ছে অনেক বেশি সরিষার তেল। 

ঘানিঘরের পরিচালক শারমীন আক্তার জানালেন, সেখান থেকে এখন তার মাসিক আয় প্রায় এক লাখ টাকা। আগামীতে ব্যবসা আরো বাড়ানোর কথাও ভাবছেন তিনি।

পরিবেশ বান্ধব ও প্রযুক্তি নির্ভর এই ঘানিঘরের গল্প এখন গোটা জেলায় সব মানুষের মুখে মুখে। শারমীনের সাফল্যে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার অনেকেই। 

পাবনার বিসিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এই শিল্পে ঋণসহ সরকারি সহযোগিতা দিতে তারা আগ্রহী। প্রয়োজনে কারিগরি সহায়তাও দিতে চান তারা।

সাত লাখ টাকা পুঁজিতে গড়া শারমিনের আক্তারের ঘানিঘরে এখন প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার করে সরিষার তেল উৎপাদন হচ্ছে।