
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর তীরে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর তীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমি দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁ অবৈধভাবে ওই স্থাপনা অপসারণের জন্য নোটিশ করা হলেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান। তিনি উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামের মৃত অছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, আত্রাই নদীর বাম তীরে সাংবাদিকের মোড় এলাকায় পাউবো’র বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধের ধারে জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আনিসুর রহমানকে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নোটিশ প্রদান করে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা স্থাপনা অপসারণ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি পাউবো’র নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নোটিশ প্রদানের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাউবো’র কর্তৃপক্ষরা অবৈধ সুবিধা নিয়ে সরকারি জায়গা দখল করার সুযোগ করে দিচ্ছেন অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও প্রসাদপুর ইউপির শুটকির মোড়, কসব তালপাতিলা মোড়সহ উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তদারকীর অভাবে প্রতিনিয়ত পাউবোর জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে।
পাউবো’র জমিতে ভবন নির্মাণের বিষয়ে আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার মা বলেন, স্বল্প জায়গাতে বসবাস হওয়ায় আমার ছেলে ওখানে বাড়ি নির্মাণ করছে। তবে অবৈধ ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গাতে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, পাউবো'র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এসব ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে নোটিশের পরেও তারা কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়। স্থাপনা নির্মাণের শুরুতে কর্মকর্তারা তোড়জোড় করলেও পরবর্তীতে আর খবর নেন না। তাই নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে ভাবে সরকারি জমিতে ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। অফিসে বারবার স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানালে বিভিন্ন আইনি জটিলতার কথা বলে তারা পাত্তা দেন না। ব্যবস্থা গ্রহণ করছি বলেই অদৃশ্য কারণে থেমে যান।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খান বলেন, অবৈধ স্থাপনা তালিকা করছি পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে নোটিশ করা হয়েছে। সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে ভোগদখলকারীদের কাছ থেকে কোন সুবিধা নেওয়া হয়না বলে তিনি অস্বীকার করেন।