বগুড়ায় পুলিশকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই, এক নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ার ধুনটে দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিহিত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. অসীমকে (৩০) ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছেশুক্রবার (১১ জুলাই) ভোরে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় শিউলী খাতুনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম এদিন বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গুয়াডহুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, আহত দুই পুলিশ সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আহত পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুল ইসলাম থানায় পলাতক আসামিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।পুলিশ ও মামলা সূত্র জানা যায়, মো. অসীম বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গুয়াডহুরী গ্রামের বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধুনট থানার এএসআই আশরাফুল ইসলাম ও কনস্টেবল আবদুল খালেক তার বাড়িতে যান। আসামি অসীমকে গ্রেপ্তারের পর তার ডান হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। বাম হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর সময় তার মা শিউলী খাতুন লাঠি দিয়ে এএসআই আশরাফুল ইসলামকে আঘাত করতে থাকেন। শিউলী লাঠি ফেলে শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করার চেষ্টা করলে কনস্টেবল আবদুল খালেক তা কেড়ে নেন।
এরপর অসীমের স্ত্রী সোহানা খাতুন (২৬) ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে এএসআই আশারাফুলের হাতে কোপ দেন। পরবর্তীতে আসীমও পুলিশ সদস্যদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এছাড়া মা শিউলী খাতুন ও স্ত্রী সোহানা খাতুনও তাদেরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় আসামি অসীম পালিয়ে যান।এরপর হামলার সংবাদ পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত আশরাফুল ইসলাম ও আবদুল খালেককে উদ্ধার করে। তারা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে এএসআই আশরাফুল ইসলাম ধুনট থানায় পলাতক অসীম, তার মা শিউলী খাতুন, স্ত্রী সোহানা খাতুনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানান, শুক্রবার ভোরে শিউলী খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়া তার ছেলে আসামি অসীম ও অন্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে রয়েছে।