
কালাইয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষকরা
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাঠে মাঠে প্রতেক বছরে বোরো ধান কাটার শেষ পর্যায়ে বৃষ্টি জানান দেয় বর্ষাকালের। আর এ ধান কাটা শেষ হতে না হতেই শুরু হয় আমন ধান লাগানোর পরিকল্পনা। এবং রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কেউবা বর্ষাকালের বৃষ্টির পানিতে আবার কেউ সেচের মাধ্যমে বীজতলা তৈরীতে করছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী বীজের চারা উৎপাদন করে থাকেন এ উপজেলার কৃষকরা। বর্ষাকালের পানিতে যাতে বীজতলা ডুবে না যায় সে জন্য কৃষকরা নির্ধারিত উচু স্থানে বীজের চারা উৎপাদনের বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক বীজতলায় বীজ বুনেছেন আবার কেউ প্রস্তুতের জন্য মাঠে কাজ করছেন। এ উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধান লাগানোর জন্য ৬শ' হেক্টর জমিতে চারা উৎপাদন করেছিল।
চলতি বছর আমন ধানের চারা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬৭ হেক্টর। এর মধ্যে উফসী জাত ৫৪২ হেক্টর, হাইব্রিড ২০ হেক্টর, স্থানীয় চারা ৫ হেক্টর। উৎপাদনগত চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর। গত বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, অর্জন ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছিল ৩৯ হাজার ১৭০ মেট্রিকটন। এবছর উপাদানের লক্ষ্য মাত্রা ৩৯ হাজার ৯৪৫ মেট্রিকটন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , এ উপজেলার বীজতলা তৈরির জন্য বীজতলা পরিচর্যা ও আগাছা দমন করছেন।
কিছু কৃষক তাদের জমিতে বলান করার জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ জমির আইল কাটছেন আবার কেউ জমি চাষ করে নিচ্ছেন। এ উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন হাতিয়র গ্রামের জালাল উদ্দীন বলেন, তিনি এবার ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন বীজতলা তৈরি করছেন। দুদিন পর বীজতলায় বীজ বপন করবেন। উপজেলার পুনট ইউনিয়নে পাঁচপাইকা গ্রামের কৃষক,মতিয়র, শরিফুল ও নয়ন বলেন, আমরা আমন ধানের চারার জন্য বীজতলা তৈরি করছি। এবার সেচ এবং বৃষ্টির পানিতেই নির্ধারিত জমি চাষ করে বীজতলা তৈরীর কাজ করছি।
ধানের ফলন বেশি পাওয়ার জন্য উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের ধানের বীজ উৎপাদনে বীজতলার যত্ন নিচ্ছি। উপজেলার জিন্দাপুর ইউনিয়নের কৃষক, আলিম চৌধুরী,সুজাউল,জানান, এ বছর তারা ৩০-৩৫ বিঘা জমির জন্য বীজতলার কাজ করছেন। অধীক ফলনের জন্য বাজার থেকে ভাল জাতের বীজ কিনছেন । কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, এবার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ইতিমধ্যে উপজেলায় ২ হাজার ১৫০ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ।