চট্টগ্রাম ভ্রমণে যেতে পারেন যেসব দর্শনীয় স্থানে
বাংলাদেশের প্রধান ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র চট্টগ্রাম শুধু অর্থনীতিতেই নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐতিহাসিক স্থাপত্যেও সমৃদ্ধ। তাই বন্দরনগরী ভ্রমণ মানেই ইতিহাস, প্রকৃতি ও বিনোদনের অনন্য সমন্বয়। চট্টগ্রামে ঘুরতে গেলে অবশ্যই দেখা যেতে পারে এমন পাঁচটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে আজকের আয়োজন—
ভাটিয়ারী
চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরের ভাটিয়ারী স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এক ডে-ট্রিপ গন্তব্য। ভাটিয়ারী লেক, পুরানো ঝর্ণা আর চারপাশের সবুজ প্রকৃতি একে পিকনিকের জন্য আদর্শ করেছে। সেনাবাহিনীর গলফ কোর্সও রয়েছে এখানে। আর দিনের শেষে ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্টে সূর্যাস্ত উপভোগ করা ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ।

সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ডে অবস্থিত এই পার্কে প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা। এখানে সহস্রধারা ও সুপ্তধারা জলপ্রপাত, বন্যপ্রাণী এলাকা, ফলের বাগান আর বুনো ফুলের তৃণভূমি রয়েছে। দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলেই চট্টগ্রাম শহর থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় প্রকৃতির এই বর্ণিল আবাসে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
চট্টগ্রামের সবচেয়ে পরিচিত ভ্রমণকেন্দ্রগুলোর একটি পতেঙ্গা সৈকত। সাম্প্রতিক সময়ে এর আধুনিকায়ন এটিকে রূপ দিয়েছে এক মিনি কক্সবাজারে। ভোর বা গভীর রাতে সৈকতের শান্ত আবহে ভ্রমণকারীরা উপভোগ করতে পারেন সাগরের ঢেউ। রাস্তার ধারে সি-শেল জুয়েলারি, খাবারের স্টল আর শিশুদের খেলনা বাজারও ভ্রমণে যোগ করে আলাদা মাত্রা।

জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর সংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। এখানে ১১টি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা ও ঐতিহ্যের নিদর্শন। চট্টগ্রামে ভ্রমণ এলে এই জাদুঘর না দেখলেই নয়।

ফয়'স লেক
শহরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত কৃত্রিম হ্রদ ফয়'স লেক চট্টগ্রামের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। লেকের নৌভ্রমণ, চারপাশের পাহাড় ও পাখির ডাক ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। শিশুদের জন্য রয়েছে নানা রাইড আর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ‘সি ওয়ার্ল্ড’ ওয়াটার থিম পার্ক।প্রকৃতি, সমুদ্র, ইতিহাস আর আধুনিক বিনোদন—সবকিছু মিলিয়েই চট্টগ্রাম ভ্রমণ হতে পারে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
