ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে ‘কবর দেওয়ার পরিকল্পনা’ অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়ের
পূর্ব জেরুজালেমকে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে একটি নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ। তার দপ্তর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে ‘কবর দেওয়া’ হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের মাআলে আদুমিম বসতি ও জেরুজালেমের মধ্যবর্তী এলাকায় ৩ হাজার ৪০১টি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হবে।এই পরিকল্পনা বহুদিন ধরে স্থগিত ছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশসহ বিশ্বশক্তিগুলো এটিকে ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, তথাকথিত 'ই ওয়ান' নামক এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনাকে ‘গণহত্যা, উচ্ছেদ ও দখলের ধারাবাহিক অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং নেতানিয়াহুর তথাকথিত ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেছে।
২০২৩ সালে গাজায় দখলদার বাহিনীর গণহত্যা যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ আরও তীব্র হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে, এসব বসতি তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বসতি-সংলগ্ন সহিংসতা বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জলপাই বাগান ধ্বংস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এমনকি ধর্মীয় স্থানে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা।এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবে ইসরায়েলকে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড স্মোটরিচ ও আরেক ডানপন্থী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশগুলো বলেছে, এই দুই নেতা বারবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন।নেতানিয়াহুর দপ্তর এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গিয়েছে, স্মোটরিচের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এখনই নির্বাচন হলে তার দল একটি আসনো পাবে না।