
রাজধানীর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি সমাবেশ।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতন শুরু হয়ে গেছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকেলে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। অর্ধশতাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। পতন শুরু হয়ে গেছে।’
এই সরকারকে সরাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রকে পুররুদ্ধারের জন্য, দেশনেত্রীকে মুক্তির জন্য তরুণ-যুবকদের জেগে উঠতে হবে। তরুণ ও যুবকদের ছাড়া এদেশে কোনো আন্দোলন হয়নি।
‘অবশ্যই এই সরকারকে সরাতে হবে। একটি নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী মুক্তি দিতে এই সরকাকে বাধ্য করা হবে।’
১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
খালেদার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার ও দল থেকে সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া মিলছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বিভিন্ন দেশ থেকে চাপ দিয়েছে। সরকার মিথ্যা কথা বলছে। আপনারা জনগণের সঙ্গে প্রত্যারাণা করেন। আপনারা বলছেন আইনের কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হচ্ছে না। আপনারা মিথ্যা কথা বলছেন। আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো যায়। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে আপনাদের (সরকার) কোনো দিনও মাফ করবেন না দেশের জনগণ।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।