Joy Jugantor | online newspaper

আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা: পূর্ণিমা

ডেস্ক রিপোর্ট 

প্রকাশিত: ২১:২২, ১১ জুলাই ২০২৫

আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা: পূর্ণিমা

আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা: পূর্ণিমা

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল বা নাম পূর্ণিমা। নব্বই দশকের শেষ ভাগে যাত্রা শুরু করে তিনি হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। আজ চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার জন্মদিন। ৪৪ বছরে পা রাখলেন এই অভিনেত্রী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। চট্টগ্রামেই কেটেছে তার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন।

অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত 'এ জীবন তোমার আমার' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, মাত্র ষোলো বছর বয়সে। সেই সময় থেকেই তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে আলাদা একটা উন্মাদনা। নানা ধরনের চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় তাকে দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কাজ।

২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না' সিনেমার জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। 'নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি', 'হৃদয়ের কথা', 'ধোঁকা', 'শিকারী', 'স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ', 'মেঘের পরে মেঘ', 'টাকা', 'শাস্তি', 'মনের সাথে যুদ্ধ', 'আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা', 'পরাণ যায় জ্বলিয়া রে', 'মায়ের জন্য পাগল', 'শুভ বিবাহ' তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।হুমায়ূন আহমেদের কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র 'সুভা'-তে শ্রবণপ্রতিবন্ধী চরিত্রে তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

বর্তমানে পূর্ণিমা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে জন্মদিনে দেশের বন্ধু, সহকর্মী এবং ভক্তদের ভালোবাসা হৃদয়ে বহন করেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি যে সময়টায় কাজ করেছি, সেই সময়ের দর্শকরা আজও আমাকে মনে রেখেছেন-এটাই আমার জন্য আশীর্বাদ। নাটক বা সিনেমায় ফেরার ইচ্ছা আমার আছে। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পেলে কাজ করব।'পূর্ণিমা ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক শান্ত অথচ শক্তিময় সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি আবার রুপালি পর্দায় ফিরে আসবেন বলে আশা করেন তার অনুরাগীরা।