Joy Jugantor | online newspaper

গাইবান্ধায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান সবজি চাষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি  

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ২৪ নভেম্বর ২০২২

গাইবান্ধায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান সবজি চাষ

গাইবান্ধায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান সবজি চাষ

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে থাকা বিভিন্ন বিল-ঝিলে ভাসমান সবজি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভাসমান বেডে কচুরিপানার ওপর মাটি ছাড়াই চাষ করা হচ্ছে সবজি। ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে খরচ কম, আয় বেশি হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। ভাসমান সবজি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা।

জেলার সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার বিল-ঝিল এমনকি সমতল জমি সাধারণত বছরের অর্ধেক সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকে। এসব এলাকার মধ্যে সাঘাটায় উপজেলায় ভাসমান পানিতে চাষ করা হচ্ছে সবজি।

সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা বিলে ভাসমান বেডে সবজি চাষ শুরু করেন এক কৃষক। প্রথমদিকে চাষিরা সন্দিহান থাকলেও পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা আসায় ভাসমান বেডে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তাতে কলমি শাক, লালশাক, পুইশাকসহ বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ হচ্ছে।

এ বছর সাঘাটার তিনটি পয়েন্টে ২৪টি বেডে পরীক্ষামূলকভাবে সবজি চাষ করা হয়েছে।
 
কৃষকরা জানান, যেহেতু নিচু জায়গা সব সময় পানি থাকে জমি ফেলে না রেখে প্রথম অবস্থায় ভাসমান সবজি চাষ করে সফলতা আসে। এখন বাজার থেকে আর সবজি কিনতে হয় না, নিজেরাও খেতে পারি, বিক্রিও করতে পারি এবং আত্মীয়-স্বজনদেরকেও দিতে পারি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই সবজি চাষ করা চিন্তাভাবনা আছে বলে জানায় কৃষকরা।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী উপপরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ হাওড়াঞ্চলে বেশি হয়। সাঘাটা উপজেলার তিনটি স্থানে প্রাথমিকভাবে সবজি চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছে। আমরা জনেতে পেরেছি তাদের ভাসমান সবজি চাষে ওই সমস্ত এলাকার কৃষকার উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ভাসমান সবজি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’