Joy Jugantor | online newspaper

দেশজুড়ে বাড়ছে ফুলবাড়ীয়ার কচুর কদর, কোটি টাকা বিক্রির আশা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে বাড়ছে ফুলবাড়ীয়ার কচুর কদর, কোটি টাকা বিক্রির আশা

দেশজুড়ে বাড়ছে ফুলবাড়ীয়ার কচুর কদর, কোটি টাকা বিক্রির আশা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে কচু। ওই এলাকায় পঞ্চমুখী কচু সাথী ফসল হিসেবে পাহাড়ি লাল মাটিতে আবাদের কারণে লাভের মুখ দেখছে কৃষক। সেখানে এবার কোটি টাকার পঞ্চমুখী কচু বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ি কচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।  

স্থানীয় ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পাহাড়ি লাল মাটি অধ্যুষিত বাকতা, নাওগাঁও, রাঙামাটিয়া, এনায়েতপুর ও কালাদহ ইউনিয়নে পঞ্চমুখী কচু চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের এবার পঞ্চমুখী কচু আবাদ হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে কৃষক পাবে ২২শ ৮৭ মেট্রিক টন কচু।

বর্তমান বাজার হিসাবে যার দাম কোটি টাকা।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ জানাান, ২২ শ ৮৭ মেট্রিক টন কচু বিক্রি করে কেটি টাকা পাবে কৃষক। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পাঁচটি ইউনিয়নের লাল মাটিতে পঞ্চমুখী চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পঞ্চমুখী কচু চাষে বাড়তি সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না, সাথী ফসল হিসেবে কচুর চাহিদা বাড়ছে। 

পাহাড়ি গ্রাম সন্তোষপুরের কৃষক আবুল কালাম কালা জানান, আনারস বাগানের দুই সারির মাঝখানে খালি জায়গায় কচু আবাদ করা যায়। আনারস ক্ষেতে যে সার ও কীটনাশক ব্যবহার তাতেই পঞ্চমুখী কচু আবাদ করা যায়। রোগবালাই কম হয় বলে শুধু কচুও চাষ করেন অনেক কৃষক।রাঙামাটিয়া গ্রামের কৃষক শফিক জানান, প্রতি কাঠায় ১৪/১৫ মণ কচু পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে দাম একটু কম হলেও পরে প্রতি মন কচু ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায় বিক্রি করা যায়। লাল মাটিতে আবাদ হয় বলে পঞ্চমুখী কচু খেতেও সুস্বাদু। সারাদেশেই এ কচুর চাহিদা রয়েছে।

পঞ্চমুখী কচুর পাইকাররা জানান, তারা প্রতি মৌসুমে ট্রাকভর্তি করে পঞ্চমুখী কচু ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশে বড় বড় কাঁচামালের আড়তে দিয়ে থাকেন। সারাদেশেই কচুর চাহিদা রয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জরুল হক জানান, পাঁচটি ইউনিয়নের লাল মাটি চাষ হওয়া পঞ্চমুখী কচু চাষে পরামর্শ দিয়ে আবাদ বাড়ানো হচ্ছে। দিনের পর দিন পঞ্চমুখী কচুর চাহিদা বাড়ছে।