Joy Jugantor | online newspaper

মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড,

প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার জরিমানা

মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড, প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার জরিমানা

মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২.৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের রায়ে ২১টি অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এই সাজা ঘোষণা করা হয়। দেশটিতে এই রায়ের বড় রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে।মালয়েশিয়া এবং মার্কিন তদন্তকারীরা বলছেন, নাজিব ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় তহবিল '১মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ' থেকে কমপক্ষে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে।

৭২ বছর বয়সী নাজিবের অ্যাকাউন্টে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাজিবকে ২০২২ সালে একই ধরণের আরেকটি মামলায় প্রথম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।তিনি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, তাকে মালয়েশিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য 'বলির পাঁঠা' বানানো হয়েছে।শুক্রবার রায়ের সময় বিচারক কলিন লরেন্স সিকুয়েরাহ রায়ে বলেছেন, অভিযুক্তের এই যুক্তি যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বিরুদ্ধে থাকা ঠান্ডা, কঠিন এবং অকাট্য প্রমাণের মাধ্যমে তার যুক্তি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, অভিযুক্ত '১এমডিবি'-তে তার নিজস্ব শক্তিশালী অবস্থানের (প্রধানমন্ত্রী পদের) অপব্যবহার করেছেন।'২০২০ সালে নাজিবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং '১এমডিবি' তহবিলের প্রায় ৯.৯ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরে তার সাজা কমিয়ে ছয় বছরে করা হয়।সর্বশেষ বিচারটি নাজিবের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। কারণ এতে সরাসরি অনেক বড় অঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারি হয়েছে।কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেমস চাইর মতে, নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিধি সত্ত্বেও, কিছু মালয়েশিয়ানদের মধ্যে তিনি এখনো জনপ্রিয়।রয়টার্স বলছে, এই রায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ক্ষমতাসীন জোটে আরও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে- যেখানে একসময়ের প্রভাবশালী ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) দলও রয়েছে। নাজিব জেল থেকেও দলটির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ধরে রেখেছেন।