বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড শীতে কাঁপছে জনজীবন
বগুড়ায় টানা দুই দিন ধরে কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় বগুড়ায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দিনভর কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। পুরো দিনই কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল জেলা।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কিছু সময়ের জন্য হালকা সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলের পর আর তা দেখা যায়নি।উত্তরের হিমেল বাতাসে বগুড়ায় কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার কারণে জেলার কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। কনকনে শীতের মধ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষজনকে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের ফুটপাত ও বিভিন্ন মার্কেটে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী গরম পোশাক কিনছেন।বগুড়া শহরে রিকশা চালাতে আসা ফজলু মিয়া জানান, হঠাৎ করেই কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সকালে কুয়াশার কারণে সড়কে কিছুই দেখা যায় না। দুই দিন ধরে সূর্যেরও দেখা মিলছে না। এতে যাত্রী কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহিদুজ্জামান সরকার জানান, উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় বগুড়ায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন। মঙ্গলবার এ তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে কুয়াশা রয়েছে এবং ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
