
ছবি সংগৃহীত
তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। ইতোমধ্যেই পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশ দুটির কৃর্তপক্ষ। তুরস্কে ২৮৪ ও সিরিয়ায় ২৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ২৮৪ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির মালটিয়া, সানলিউরফা, ওসমানিয়ে ও দিয়ারবাকির প্রদেশে ২৮৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ৩২৩ জন আহত হয়েছেন।
আর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও টার্টাসে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন।
ভূমিকম্পের পর হাতায়-রেহানলি সড়কটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায় /ছবি- টুইটার থেকে
তুরস্কের দিয়ারবাকির প্রদেশে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে / ছবি- আনাদোলু এজেন্সি
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আল আজাজে ভূমিকম্পের পর একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারী আহত শিশুকে নিয়ে যাচ্ছেন / ছবি- রয়টার্স
ভূমিকম্পের পর গাজিয়ানটেপের বাসিন্দারা বরফের মধ্যে বাইরে অবস্থান করছেন / ছবি- আনাদোলু এজেন্সি
ভূমিকম্পের সময় ঘুমের মধ্যে থাকায় বহু হতাহত হয়েছেন /ছবি - সংগৃহীত
ধ্বংস হয়ে গেছে রোমান আমলের নির্মিত ঐতিহাসিক গাজিয়ানতেপ দুর্গ /ছবি -সৃংগৃহীত
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশের শহর আফরিনের জানদারিসে ভূমিকম্পে আহত শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে / ছবি -এএফপি
সীমান্তের উভয় পাশের একাধিক শহরে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে নেমেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও বাসিন্দারা। তুরস্কের দিকে এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বড় শহর রয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষাধিক সিরীয় শরণার্থীর আবাসস্থল।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।