
বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি, রংপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের প্রবল ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কায় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচে।পানির এই বৃদ্ধিতে গঙ্গাচড়ার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া, কাউনিয়ার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর, এবং পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তিস্তার পানি ঢুকে পড়েছে।
চর শংকরদহের এক বাসিন্দা দুলালী বেগম বলেন, 'মোর বাড়ির কাছোত নদী ভাঙ্গি চলি আসছে। পানি ঘরোত আইসে, ফির কমি যায়। শুনছি পানি আরও বাড়বে, তাই কিছু জিনিস চৌকির উপর তোলা হইল।' স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আনসার আলী জানান, 'পানি বাড়া-কমাত ভাঙন শুরু হইছে। সেতু রক্ষা বাঁধ ভাঙতোছে, জমিগুলোও ভাঙি গেইছে।' এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, 'মঙ্গলবার পঞ্চগড়ে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।'
বুধবারও রংপুর বিভাগ ও তিস্তার উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ, আশ্রয় ও নদী-ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।