তাহিরপুরের বারেক টিলায় ঘুরছে বন্য হাতি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র বারেক টিলায় গত বছরের মতো এবারও বন্য হাতি আগমন ঘটেছে। হাতি বিচরণের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে টিলার আশেপাশে বসবাসরত মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
আবার এরই মাঝে অনেক উৎসুক জনতা বন্য হাতিদের দেখতে ভিড়ও করছে। তবে লোকালয়ে বন্য হাতির আগমনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা তৎপর রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত সীমান্তরেখা অতিক্রম করে যাদুকাটা নদী হয়ে চারটি বন্য হাতি বারেক টিলার অবস্থান করছে। বারেকটিলায় এসে স্থানীয় আরশাদ ফকিরের আলু খেত ও শামছু মিয়ার ধানের জমির সামান্য ক্ষতি করলেও কোন রকম হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
‘উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মহিলা (মেম্বার) সুষমা জাম্বিল বলেন, আমি বন্য হাতি আগমনের খবর শুনেছি। যাদুকাটা নদী হয়ে বারেক টিলা সংলগ্ন ধানক্ষেতে দিয়ে টিলার জঙ্গলে অবস্থান করেছে।’
হাতির আগমনের তথ্য নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, বারেক টিলায় হাতি আগমনের কথা শুনে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ-বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমি নিজেও সেখানকার অধিবাসীদের খবর নিয়েছি। রাতে বেলায় মশাল জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছি। আমি আশা করি বন্য হাতিগুলো আপন গতিতে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে।,
হাতির কারণে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল লতিফ (তরফদার) বলেন, বারেক টিলায় চারটি বন্য হাতির আগমন ঘটেছে। খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে পুলিশ মশাল জ্বালিয়ে রেখেছে। এছাড়াও সেখানের পরিবেশ শান্ত ও সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পুলিশ মাইকিং করেছে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির জানান, আমি হাতির আগমনের খবর শুনে জেলা প্রশাসকসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। সেখানে পুলিশ ও বিজিবি অবস্থান করছে। আগত হাতিগুলোকে কেউ বিরক্ত না করে সে জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
