
শেরপুর প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামীপন্থী অধ্যক্ষকে নিয়োগ
প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামীপন্থী জাকির হোসেন নামের একজনকে বগুড়ার শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
পূর্বে যমুনা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালিন সময়ে কলেজে না গিয়ে বেতন উত্তোলনসহ আর্থিক নানা অনিয়ম করেছেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (৭ মে) দুপুরে কলেজের গভর্নিং বডির একাধিক সদস্যে জেলা প্রশাসক ও মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কলেজের সভাপতি কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান যৌথভাবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ঘটিয়েছেন। অতীতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে বহিষ্কৃত হওয়া কলেজের প্রদর্শক মাহবুবুল হক তাদের সহায়তা করেন।অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যদের বাদ দিয়ে রাতারাতি নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি কমিটি অনুমোদন করিয়ে আনা হয়যাতে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই কমিটির মাধ্যমেই নিয়োগে অনিয়ম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ ‘বেচাকেনা ’করেছেন।দুর্নীতি কারনে কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে সভাপতি বরাবর আবেদন করেন।কিন্তু সভাপতি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তার সাথে যোগসাজসে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠে। এই বিষয়ে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য পিয়ার হোসেন পিয়ার ও জাহিদুর রহমান টুলু লিখিতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবী করেছেন।
তাঁরা অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতসহ দায়ীদের অপসারণ ও যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে পিয়ার হোসেন পিয়ার ও জাহিদুর রহমান টুলু বলেন, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী পন্থী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেবে এটা মেনে নেয়ার মত নয়। জাকির হোসেন একজন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক, এছাড়াও তিনি যমুনা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালিন সময়ে কলেজে না গিয়ে বেতন উত্তোলন সহ আর্থিক নানা অনিয়ম করেছেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশহয়েছে।
অত্যন্ত গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছিল কিন্ত সাংবাদিকরা জানার পর কন্দ্রে গেলেও তাদেরকে ভিতরে যেতে দেয়া হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরে ছাত্রদল নেতাকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও ২টার সময়ের পরীক্ষা তাদের মননীত প্রার্থীকে নেওয়ার জন্য নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরী করে ৪টার সময় নেওয়া হয়েছে।অভিযোগের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।