
বগুড়া শহরের রোচাস রেস্টুরেন্টের হলরুমে রোববার বিকেলে।
নগরের যান্ত্রিকতা ছাপিয়ে এক টুকরো গ্রামিণ সংস্কৃতির পরশ দিতে বগুড়ায় পৌষ মেলার আয়োজন করেছেন নারী উদ্যোক্তারা। শহরের রোচাস রেস্টুরেন্টের হলরুমে রোববার বিকেল থেকে তিনব্যাপী এই পৌষ মেলা শুরু হয়।
নারীদের নিয়ে এ পৌষ মেলাটির আয়োজন করে লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন, রেসকিউ আওয়ার পিপল এভার (রোপ) ও নারীই শক্তি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেলাটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল।
এ সময় তিনি বলেন, নারীদের হাতে পৌষ মেলার আয়োজন দেখে খুব ভালো লেগেছে। নারী উদ্যোক্তা থাকা মানে দেশের সাসটেইনেবল গোল অর্জনের পথ সহজ হওয়া। যে দেশে নারীরা এগিয়ে থাকে, সেই দেশকে পিছিয়ে রাখতে পারে না কেউ।
মেলায় ১৭ টি স্টলে পিঠা-পুলি, গহনা, হস্তশিল্পের পন্য নিয়ে পসরা সাজান নারী উদ্যোক্তারা। এখানকার ক্রেতাদের একটি বড় অংশও নারীরা। এখানে ঘুরতে আসা শহরের রহমাননগর এলাকার হাবিবা নাইস নামে এক গৃহিনীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি মাটির টবসহ ক্যকটাস গাছ ক্রয় করেন।
হাবিবা নাইস বলেন, নগরায়নের কারণে আমরা গ্রামীন সংস্কৃতির অনেক কিছু ভুলে যেতে বসেছি। সেখানে এই পৌষ মেলার আয়োজন খুবই উদ্দিপনাময়। আর এমন মেলায় পিঠাসহ বিভিন্ন খাবারের আইটেম থাকে। কিন্তু বাহিরে বা খোলা ময়দানে মেলা হলে দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও অনেকেই খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে ছোট পরিসরে হলরুমে মেলা আয়োজন করাই ভালো।
মেলায় বিভিন্ন পিঠা-পুলি, গুড় নিয়ে হাজির হয়েছেন নাদিরা হাসান নামে এক উদ্যোক্তা। তার প্রতিষ্ঠানের নাম এনএস ফুঢ কর্নার।
নাদিরা বলেন, এখন তো সবাই কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত। পিঠা, রসের পায়েস এমন খাবার তৈরির সময় পায় না।এ জন্য তাদেরকে লক্ষ্য রেখে এসব পন্য তৈরি করা শুরু করি।
এই নারী উদ্যোক্তা জানান, পৌষ মেলায় নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি ঝোলা গুড়, আমসত্ব, কালাইয়ের রুটি নিয়ে এসেছি।
মেলা আয়োজক রোপের সম্পাদক ও নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী বলেন, আমরা যে সংস্কৃতি পেয়েছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মেরা তার অনেক কিছুই দেখেনি। হয়তো আরও হারিয়ে যাবে। আবার যান্ত্রিকতাকেও আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। সে জন্য ছোট করে হলেও এমন গ্রামীন মেলা আরও বেশি করে আয়োজন করতে চাই।