পলাতক প্রকল্প পরিচালক, ঝুলে আছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৫৭১ কোটি টাকার নিরীক্ষা
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের তৎকালীন পরিচালক পলাতক থাকায় ছয় হাজার ৫৭১ কোটি টাকা খরচের নিরীক্ষা অনিষ্পন্ন আছে। ফলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) গ্রহণ করছে মাত্র ১৮৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার না হওয়া দুঃখজনক।বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে সপ্তাহে দুইবার কয়লা আমদানি করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিম্নমানের কয়লা আনা হতো। বর্তমানে সেই কয়লার মান পরীক্ষা করতে ব্যাংককে পাঠানো হলেও, পরীক্ষার প্রতিবেদন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞেরসম্প্রতি গণমাধ্যমে মাতারবাড়ী এলাকায় একটি সড়কের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয়ের পরিমাণ ‘রেকর্ড’ দাবি করা হয়। এ প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রকল্পটি ঘুরে দেখার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, সড়কটির অধিকাংশ অংশ উঁচু-নিচু ভূমিতে হওয়ায় সেখানে অনেক সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করতে হয়েছে। ফলে প্রকৃতপক্ষে ব্যয় অতিরিক্ত ছিল না।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প পর্যবেক্ষণের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।এদিন একনেক সভায় তিন হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।