
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাফর বরকত।
নাটোরের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকতকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩ জুলাই) সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের গোলাম ইয়াসিনিয়া ফাজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকত নাটোর সদর থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে আছেন খোলাবাড়ীয়ার ইউপি চেয়ারম্যান নুরজ্জামান কালু, তার ছেলে জয়সহ অন্য সহযোগীরা।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ স্থানীয়রা মাদ্রাসায় গিয়ে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি করে বিলুপ্তির দাবি জানায়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকতের সঙ্গে এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ জাফর চেয়ার তুলে চেয়ারম্যানের দিকে তেড়ে যান। তখন চেয়ারম্যান সমর্থকরা শিক্ষক জাফরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে মারধর করে।
পরে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে।
জাফর বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। পরে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে মারা হয়।’
চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এমন সংবাদ শুনে আমি যাই। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাফর চেয়ার তুলে আমাকে মারার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার মুখের দাড়ি ধরে টান দেয়।
‘তখন স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষককে মারপিট করে। তাকে রোষানল থেকে রক্ষা করতে ইউনিয়ন পরিষদ নেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে নিয়ে যায়।’
মাদ্রাসার সভাপতি ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল বলেন, ‘কমিটি ভেঙে নতুন করে কমিটি দখল নিতে এই ধরনের হামলা চালিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত মাদ্রাসার বৈধ কমিটিকে গায়ের জোরে ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করতে চান তিনি। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই।’
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, তদন্তের পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।