Joy Jugantor | online newspaper

ইসরায়েলের চারটি স্থানে ড্রোন হামলা হুথিদের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০২৫

ইসরায়েলের চারটি স্থানে ড্রোন হামলা হুথিদের

ইসরায়েলের চারটি স্থানে ড্রোন হামলা হুথিদের

ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, গাজায় চলমান সামরিক অভিযান এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ‘নৃশংসতা’র প্রতিশোধ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।আল জাজিরার প্রতিবেদন অনযায়ী, হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, হামলাটি ইসরায়েলের চারটি স্থানে চালানো হয়েছে—হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ (আইলাত) এবং বিরসেবা।

তার ভাষ্য, এই অভিযানে ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয় এবং প্রতিটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে এবং অবরোধ না তুলে নেওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।’যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো হুথিদের এই হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ও ধারাবাহিক হামলাই হুথিদের সাম্প্রতিক তৎপরতার মূল প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষ। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৫১৩ জন।খাবারের অভাবও গাজার প্রাণহানির হিসাব বাড়াচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানায়, অনাহারে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ নিয়ে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, এর মধ্যে ১০৩ জন শিশু।গত কয়েক মাস ধরে হুথিরা প্রায় নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। তবে হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার দাবি এবারই অন্যতম বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।