বেড়েরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয়দের ভিড়।
কালি সংকটের কারণে বগুড়া ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। এ সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা নিয়ে কেন্দ্রের আনসার বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে স্থানীয়দের হট্টগোলের ঘটনাও ঘটে।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়ের বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রার্থীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেড়েরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৫ জন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কোনো কারণ ছাড়াই ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় বেড়েরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞেস করা হলে তারা সঠিক কোনো জবাব দেননি।
পরে কয়েকজন নারী ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে আনসার সদস্যরা তাদের সঙ্গে দুব্যবহার করেন। এ নিয়ে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রাও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থীরা স্থানীয়দের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানতে চাইলে ফেরদৌস আলম ও আবু সালেক নামে দুজন মেম্বার পদপ্রার্থী বলেন, ভোট কেন্দ্রে ঢোকার সময় কয়েকজন নারীদের আনসার সদস্যরা বাধা দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আমরা গিয়ে স্থানীয়দের কথা বলে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেই।
ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এ কে ফজলুল হক বলেন, কালি সংকটের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয়ভাবে কালি যোগাড় করে সাড়ে তিনটার পর থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট বন্ধ রাখার সময় স্থানীয়দের সঙ্গে সামান্য কথাকাটি হয়েছিল। তবে তা তখনই সমাধান হয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।