Joy Jugantor | online newspaper

আলট্রাসনোতে যমজ কিন্তু জন্ম নিল এক শিশু!

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আলট্রাসনোতে যমজ কিন্তু জন্ম নিল এক শিশু!

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে যমজ শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও জয়পুরহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জন্ম নিল এক ফুটফুটে কন্যা শিশু। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া এলাকায়। রিপোর্টে এক ছেলে ও এক মেয়ে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হলেও ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারিতে একটি মাত্র কন্যা শিশু জন্ম নিয়েছে। আর এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত  চেয়ে জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারীর স্বামী আব্দুস সোবাহান।

জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের স্ত্রী ফারহানা বেগমের গর্ভের সন্তান পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচবিবি গ্রাজুয়েট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালট্যান্সিতে আসেন। 

সেখানে আলট্রাসনোগ্রাফির পরে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দেখে ডা. মো. তাসরীফ হোসাইন সজল বলেন, ঐ নারীর গর্ভে যমজ সন্তান আছে। যার একটি ছেলে, একটি মেয়ে। এছাড়া গত ২ এপ্রিল পুনরায় গর্ভের সন্তানের নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। সেখানেও আবারও আলট্রাসনোগ্রাম করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরে জান্নাত বলেন, ঐ নারীর গর্ভে যমজ সন্তান আছে। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল জয়পুরহাটের আনোয়ারা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য নিয়ে গেলে সেখানে নরমাল ডেলিভারিতে এক কন্যা শিশু জন্ম নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা। ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আব্দুস সোবহান বলেন, সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ভাবে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ সন্তানের কথা বলা হলেও ক্লিনিকে একটা বাচ্চা কীভাবে জন্ম হয়? আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে গ্রাজুয়েট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালট্যান্সির ডা. মো. তাসরীফ হোসাইন সজলের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।