
বগুড়ায় দিনব্যাপী শিশু-কিশোর লেখক সমাবেশ হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বগুড়ায় দিনব্যাপী শিশু-কিশোর লেখক সমাবেশ হয়েছে। শিশু-কিশোর সাহিত্য সংগঠন ‘কুঁড়ি’ মঙ্গলবার শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে ম্যাক্স মোটেলের কনফারেন্স হলে এই আয়োজন করে।
সমাবেশের সমাপনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন কুঁড়ি’র উপদেষ্টা সম্পাদক জিএম সাকলায়েন বিটুল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
এ সময় তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও সাহিত্য চর্চায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা তাদের সৃজনশীল মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সহায়তা করে।
সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের দেশপ্রেমিক নাগরিক করে গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার বলেন, ছড়া, কবিতা, গল্প যারা চর্চা করে তারা সৃজনশীল মানুষ। আর একজন সৃজনশীল মানুষ দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারে, জাতিকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল মমিন খান, দৈনিক করতোয়া’র বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, নজরুল পরিষদের সভাপতি কলামিস্ট এড. মনতেজার রহমান মন্টু ও গাজী রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরিন সুলতানা। অন্যান্যের মধ্যে আরোও বক্তব্য রাখেন, কবি মনজু রহমান, কবি আবু সুফিয়ান, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে দিনব্যাপী সমাবেশে অংশগ্রহণকারী স্কুল পড়ুয়া লেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ছড়া ও ছোটগল্প লেখায় উদ্বুদ্ধ করতে কিশোর বয়স থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে ছড়ার ছন্দ ও বিষয় এবং ছোটগল্পের প্রেক্ষাপট ও চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন বিশিষ্ট কবি খৈয়াম কাদের, ছড়াকার আমির খসরু সেলিম ও কুঁড়ি পত্রিকার সম্পাদক কবি আব্দুল খালেক।
সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুঁড়ির সহযোগী সম্পাদক জিললুর রহমান শামীম এবং তাকে সহযোগিতা করেন উম্মে হাবিবা ও জাকি-উল হক জীবন।
সমাবেশে বগুড়ার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন লেখিয়ে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।