ছবি সংগৃহীত
তীব্র গরমে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলি উপজেলা হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম ও পবিত্র রমজান মাসে ভাজা-পোড়া খাবার একটু বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। হাকিমপুর উপজেলা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীদের স্যালাইন, সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক-নার্সরা।
সকালে উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের প্রায় সব বেডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে আছেন।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, হাসপাতালে নতুন করে ৮ জন ভর্তিসহ ২০ জন ভর্তি ছিলেন। আরও ৬ জনকে ছুটি দেওয়াসহ এদিন হাসপাতাল ছেড়েছেন ১২ জন। আগের দিন সোমবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২১ জন। রবিবার ছিলেন ১৮ জন।
হাসপাতালের নার্স মৌসুমি আক্তার জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ৩/৪ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮-১০ জন করে রোগী ভর্তি নিতে হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকা পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ উম্মে সালমা বলেন, হঠাৎ করে আমার এবং আমার শিশু বাচ্চার বমি ও পাতলা পায়খানা। ওইদিন রাত এগারোটায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি এখন অনেকটা সুস্থ।
উপজেলার মুশিদপুর গ্রামের শিহাব আহমেদ বলেন, আমি রমজান মাসের রোজা রাখি। হঠাৎ গতকাল থেকে আমার পেটের ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেওয়ার পরে বর্তমানে একটু সুস্থ আছি।
হাকিমপুর হিলি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুলতান মাহমুদ হাসান বলেন, হাসপাতালে বেশ কিছু দিন থেকে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমাদের হাসপাতালে স্যালাইন পর্যাপ্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। অনেক রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে রমজান মাসে ভাজা-পোড়া খাবার কম খেতে হবে। খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে এবং অবশিষ্ট খাবার ঢেকে রাখতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
