Joy Jugantor | online newspaper

শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা, আটক ১০ শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা, আটক ১০ শিক্ষার্থী

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে দাঁড়ানোর আগেই পুলিশ তাদের অন্তত ১০ জনকে আটক করে।

আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাত জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন তেজগাঁও কলেজের কাউসার আহমেদ, হাসান আল মেহেদী, শাহ দিদার; সিদ্ধেশ্বরী কলেজের আল আমিন মিনা, সাগর; খিলগাঁও মডেল কলেজের মোহাম্মদ সজল মিয়া ও হাজি সেলিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মিরাজুল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে, আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হবে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সে চেষ্টা ভেস্তে যায়।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আরিফ রহমান বলেন, ‘আমাদের মাস্টার্সের কিছু পরীক্ষা চলমান ছিল। আগামী ২৭ তারিখ এ সকল পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে সকল পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ে গেছি৷

‘আমাদের পরীক্ষা যেন সচল করা হয় সে দাবি নিয়ে আমরা শাহবাগে দাঁড়ালে পুলিশ আমাদের কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।’

তেজগাঁও কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আহাদউজ্জামান বলেন, ‘আমরা কোনো সরকার পতনের আন্দোলন করছি না। আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন করছি।

‘আমাদের চলমান যে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে, সে পরীক্ষা যেন নেওয়া হয়। সাত কলেজের যদি পরীক্ষা নিতে পারে আমাদের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন?’

তেজগাঁও কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাদমান সাঈদ বলেন, ‘আমরা আমাদের চলমান পরীক্ষাটি স্থগিত করার প্রতিবাদে শাহবাগে এসেছিলাম। কিন্তু দাঁড়ানোর আগেই আমাদের ১০ জন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

‘এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনো কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ বলেন, ‘অনলাইন মেসেজের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল কলেজগুলো আছে সে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে শাহবাগ মোড় অচল করে দিবে।

‘শাহবাগ চত্বরে অনেক হাসপাতাল রয়েছে৷ জনজীবনের দুর্ভোগ এড়াতে এই রাস্তা যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তাই আমরা সবাইকে মেসেজ দিচ্ছি, এখানে যেন কেউ জড়ো না হয়।

‘যদি তাদের যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে মেসেজ দেওয়ার মতো কিছু থাকে তারা প্রেস ক্লাবে গিয়ে জড়ো হতে পারে।’

আটকের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘তারা কোথা থেকে এসেছে, কেন এসেছে এগুলো জেনে তাদের যথাসময়ে ছেড়ে দেয়া হবে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় বর্ষ ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়। পরীক্ষা চলার কথা ছিল ২৩ মার্চ পর্যন্ত।

আর ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গত ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হচ্ছে।

তবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ মে থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাও শুরু হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অতি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।