Joy Jugantor | online newspaper

সারিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যান পদে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র আলো 

ইমরান হোসাইন রুবেল

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

সারিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যান পদে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র আলো 

মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়নের উত্তর বলাইল গ্রামে গণসংযোগে মেহেদী হাসান আলো।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নূর মো. মেহেদী হাসান আলো নামে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অংশ নিয়েছেন। উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদে আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন তিনি।  

নূর মো. মেহেদী হাসান আলো হাটশেরপুর ইউনিয়নের তাজুরপাড়া গ্রামের মো. তৌহিদুল আলম নয়নের ছেলে। এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল কলেজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। 

আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) ইউনিয়নবাসীর কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। ছাত্র জীবনে এমন সিদ্ধান্ত বেছে নেওয়ায় আলোচনার মূল কারন তিনি। 

স্থানীয়রা জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নটি যমুনা ও বাঙালী নদী বিধ্বস্ত একটি এলাকা। এই ইউনিয়নে ১৬টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামের ৮টি যমুনা ও ৩টি বাঙালী নদী চরে অবস্থিত। মোট লোক সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি হলেও নারী-পুরুষ মিলে ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ হাজারের মতো। 

মঙ্গলবার বিকেলে গণসংযোগ করছিলেন ইউনিয়নের উত্তর বলাইল গ্রামে। এ গ্রামে গণসংযোগ করার সময় অনেকেই তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। বিশেষ করে নারী ও তরুণ ভোটারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তাকে দেখতে ভিড় জমায়। 

এ সময় মেহেদী হাসান আলো বলেন, আমি ইউনিয়নে সেবার মানে আমূল পরিবর্তন করতে চাই। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বয়স্ক, শিশু থেকে শুরু করে, সব মানুষের মনিকোঠায় ওঠা যায়। কিন্তু পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তা না করে মানুষের কাছে তিরস্কৃত হন। ছোট থেকেই আমার কাছে বিষয়গুলো খুবই খারাপ লাগছে। এ কারণে আমি এ সমাজের পরিবর্তন আনতে চাই। আমি ইউনিয়নবাসীর সেবা করে হাটশেরপুর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে দেশবাসীর সামনে আনতে চাই। 

তিনি আরো বলেন, আমি কোন দলের হয়ে আসিনি, কারন দল থেকে মনোনিত হয়ে চেয়ারম্যান হলে দলের চাপে প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের সেবা করা যায়না। সে জন্য আমাকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। 

ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান শামীম বলেন, আমিও ওই পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র তুলেছিলাম। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। স্থানীয় এ নির্বাচনে আলো একটা ফ্যাক্টর। যার কারনে এলাকার স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমি সরে এসেছি।