Joy Jugantor | online newspaper

বগুড়ায় নাকের ডগায় আইএমইআই বদল, কোথায় যাচ্ছে চোরাই ফোন

আব্দুল আউয়াল ও খালিদ বিন সাঈদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২১ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৪:৫৬, ২১ এপ্রিল ২০২২

বগুড়ায় নাকের ডগায় আইএমইআই বদল, কোথায় যাচ্ছে চোরাই ফোন

মোবাইল সাভিসিং করছেন এক টেকনিশিয়ান।

শহরের ফতেহ্ আলী বাজারের সামনে পুরোনো প্যাসিফিক স্টুডিওর গলি এলাকায় মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে বসেন আমিনুর (ছদ্মনাম) এক টেকনিশিয়ান। তিনি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কোনো কাজ করেন না। দক্ষ এই ব্যক্তি যে কাজটুকু করেন সেটা অবশ্য মোবাইল সার্ভিসিং সংক্রান্ত-ই। তবে তা বৈধ নয় অবৈধ। কাজটি হলো চোরাই ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষে চুরি যাওয়া মোবাইল আর উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।

আইএমইআই হলো আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি। এই আইএমইআই প্রতিটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি সংখ্যাসূচক পরিচয় বা সংখ্যাসূচক আইডিন্টিটি। আর এই কারণে প্রতিটি আইএমইআই নম্বরই অনন্য। অর্থাৎ একটি আরেকটির থেকে ভিন্ন। 
আইএমইআই নম্বর দিয়ে প্রতিটি স্মার্ট ফোন কোথায় আছে তা জানা যায়। মোবাইলের মধ্যকার তথ্য, কল লিস্ট, কোন সিম ব্যবহার করছে তাও জানা যায়।

শঙ্কার কথা হলো মোবাইলের এই আইএমইআই অবৈধভাবে পরিবর্তনকারী চক্র বগুড়ায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। 
দৈনিক জয়যুগান্তর টিমের অনুসন্ধান বলছে, মোবাইল সার্ভিসিংয়ের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে অন্তত ১০০ জন মেকানিক জড়িত রয়েছেন। পুলিশও অবশ্য এই তথ্যের সাথে এক মত পোষণ করেছেন। 

কিন্তু সংকটের জায়গা হলো পুলিশ এসব টেকনিশিয়ানের চেয়ে প্রাযুক্তিক দিক থেকে তুলনামূলক কম দক্ষ হওয়ার কারণে চোখের সামনেই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

বগুড়া সদর থানার তথ্য মতে, এ থানাতে প্রতিমাসে গড়ে ৪৫ টি মোবাইল হারানোর জিডি করা হয়। এই হিসাবে বছরে অন্তত ৫৪০ টি মোবাইল ফোন চোরাকারবারীদের হাতে চলে যায়। এগুলোর ৯০ ভাগই স্মার্টফোন। যেগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করা হয়। 

যদিও সাধারণ মানুষের দাবি, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। কারণ উদ্ধার না থাকায় মোবাইল হারানোর পর অনেকেই থানায় জিডি করতে যান না।

বগুড়া শহরের হাকির মোড়ের বাসিন্দা কবির উদ্দিন মাহামুদ। গত জানুয়ারিতে শহরের চারমাথা এলাকায় তাকে ঘিরে ধরে পকেট থেকে অভিনব কায়দায় স্মার্টফোন উঠিয়ে নেয় একটি চক্র। এ বিষয়ে তিনি সদর থানায় একটি জিডি করেন। এর একমাস পরেই ফেব্রুয়ারিতে শহরের সাতমাথা থেকে তার আরও একটি ফোন খোয়া যায়। তবে এবার তিনি আর জিডি করেননি।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘আগের ফোন জিডি করে আসলেও কোন সাড়া পাননি। তাই দ্বিতীয় বার আর জিডি করার প্রয়োজন মনে করিনি৷’

জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, বগুড়া শহরে পকেট থেকে মোবাইল ফোন চুরির সাথে সরাসরি জড়িত আছে অন্তত ২০০ ব্যক্তি। এরা তিন থেকে চার সদস্যের ছোট দল গঠন করে চুরি করেন। এরা শহরের চেলোপাড়া, সান্ধারপট্টি, নারুলী, কলোনী, চকসূত্রাপুর ও কাহালু উপজেলা থেকে দলবদ্ধভাবে শহরে আসে। এই সদস্যদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ কিংবা এর নিচে।

চোরাই ফোন সাধারণত কম দামে বিক্রি হয় বলে জানান বগুড়া সদর থানার এক উপপরিদর্শক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা জানান, এসব ফোন বিক্রির সাথে অন্তত ৫০ জন ব্যক্তি সক্রিয় আছেন। তারা ফোনগুলো পকেটমার বা চোরদের কাছে কেনার পর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের জন্য নিয়ে যান টেকনিশিয়ানের কাছে।

তেমন একজন টেকনিশিয়ান হলেন আমিনুর। তিনি চেলোপাড়ার বেশ কয়েকটি গ্রুপের ফোনের আইএমইআই এবং বিভিন্ন লক খোলার কাজ করে দেন।

আইএমইআই পরিবর্তন সম্পর্কে জানেন এমন টেকনিশিয়ানরা জানান, বর্তমানে নতুন একটি ডিভাইজ অনলাইনে পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে সব ধরনের ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করা যায়। এটির নাম ‘চিমেরা’ বক্স। ডিভাইজটি ডলার দিয়ে অনলাইনে অ্যাকটিভ করতে হয়। এই ডিভাইজে অনলাইনে ইউজার আইডি এবং পাসওর্য়াড থাকে। যা লগইন করার মাধ্যমে একটি বিশেষ পদ্ধতি (দৈনিক জয়যুগান্তরের সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করে পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো না) অনুসরণ করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা যায়। বগুড়ায় কর্মরত মেকানিকদের মধ্যে অবশ্য সবাই এই কাজে জড়িত নন। 

বগুড়া জেলা মোবাইলফোন টেকনিশয়ান সার্ভিসিং অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম তুহীন জানান, বগুড়া শহরের প্রায় ৮০০ জন মোবাইল মেকানিক রয়েছেন। 

এর মধ্যে প্রায় ৪০০ জনের বেশি মেকানিক সফটওয়্যারবেজড কাজ করেন। এদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি মেকানিক আইএমইআই পরিবর্তন করতে পারেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বগুড়ার টিএমএসএস মোবাইল মার্কেটের এক টেকনিশয়ান দাবি করেছেন। ওই টেকনিশিয়ার মোবাইল সার্ভিসিংয়ের সাথে ১০ বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছেন।

সফটওয়্যার কাজের মধ্যে ফোন ফ্লাস, লক (প্যাটান, ফেস, পিন) খোলা, কান্ট্রি লক খোলা, ফোনের নিজস্ব নিরাপত্তা অ্যাকাউন্ট রিমুভ করা। এসব কাজ করতে সাধারণত খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না বা উন্নত কোন ডিভাইজের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু ফোন যদি বেশি দামি হয় তাহলে প্রসেসরভেদে উন্নত ডিভাইজের প্রয়োজন পড়ে। উন্নত ডিভাইজ ব্যবহার না করলে দামী ফোনে সফটওয়্যারভিত্তিক এসব কাজ করা সম্ভব নয়।

আর আইএমইআই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উন্নত এবং আপডেট ডিভাইজের প্রয়োজন আব্যশক। তবে সেগুলো আবার প্রসেসরভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যদি মিডিয়াটেকের (প্রসেসর তৈরি কোম্পানি) প্রসেসর হয় তাহলে ‘ডঙ্গল’ নামের ডিভাইজের মাধ্যমে আইএমইআই পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আবার যদি স্নাপড্রাগনের প্রসেসর হয় তার ক্ষেত্রে সিগমা বক্স ডিভাইজের প্রয়োজন পড়ে। এই সব ডিভাইজগুলো হ্যাকিং ডিভাইজ এবং এগুলো ডলারের মাধ্যমে নিদিষ্ট সময়ের জন্য এক্টিভ করে নিতে হয়।

একাধিক মোবাইল মেকানিক বলেন, বর্তমানে কোন টেকনিশিয়ান এসবের সাথে জড়িত তা বের করা কঠিন। কিছু দিন আগেও যারা সফটওয়্যারবেজড কাজ কিংবা আইএমইআই পরিবর্তন কাজ পারতের তারা দোকানের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে রাখতেন। সেখানে লিখা থাকত, ‘এখানে কান্ট্রি লক খোলা হয়, ফোনে সফটওয়্যার দেওয়া হয়।’ কিন্তু বর্তমানে কোনো দোকানের সামনে ব্যানার নেই। পরিচিত ছাড়া কারও কাজ তারা করে দিনে চান না।

শহরের মধ্যে টিএমএসএস মোবাইল মার্কেটে এবং সপ্তপদীতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশি হয় বলে জয়যুগান্তরের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

টেকনিশিয়ানরা আইএমইআই পরিবর্তন এবং প্যার্টান লক (ফোন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা) খুলে দিলে প্রত্যেক ফোনের জন্য ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেন। যদি কেউ নামমাত্র পরিচয়ে (রেফারেন্স) আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতে আসে তাহলে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

বগুড়া টিএমএসএস মার্কেটে শিহাব (ছদ্মনাম) প্রায় ১০ বছর ধরে মোবাইল সার্ভিস করেন। তিনি আইএমইআই পরিবর্তন করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি মোবাইল ভেদে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন।

আমাদের অনুসন্ধান টিমের সাথে কথা বলেছেন এই টেকনিশিয়ান। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ না করা শর্ত দিয়েছেন। ৩৫ বছরের এই টেকনিশিয়ান বলেন, ‘দেশে যে মোবাইলগুলো ব্যবহৃত হয় তার সবগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতে পারি। তবে বগুড়ায় যে আমিই পারি তা নয়, আরও অনেকে রয়েছেন। সবাই গোপনে এই কাজ করেন।’

এই টেকনিশিয়ান আরও বলেন, আইএমইআই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন প্রসেসর নিয়ে কোনো ফোন বাজারে আসলে তার জন্য আপডেট ডিভাইজ কিনতে হয়। কিন্তু কোন সাইটে তা পাওয়া যায় তা জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। বগুড়া সাতামাথার সপ্তপদী মার্কেটের অন্য এক মেকানিকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।

মোবাইল টেকনিশিয়ানরা জানান, বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানের থেকে প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি গ্রুপ (সিন্ডিকেট) মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করে। তবে তারা নিয়মিত নয়। মাঝে মাঝে কাজ করে। শহরের চেলোপাড়া থেকে অধিক পরিমাণে মোবাইল আসে, যার আইএমইআই পরিবর্তন করতে হয় এবং পিন লক খুলে দিতে হয়। তারা মোবাইল বিক্রিও করেন। তবে যারা সরাসরি মোবাইল ছিনতাই বা চুরির সাথে জড়িত তারা কখনও আসেন না আইএমইআই পরিবর্তন করতে।  

চুরির ফোন পাচার হয় অন্য জেলায়

অনুসন্ধান বলছে, বগুড়া শহরে সক্রিয় দুই তিনটি কিশোর গ্যাং রয়েছে, যারা বিভিন্ন বেশে এবং অভিনব কায়দায় ফোন চুরি করে থাকে। তাদের চুরি করা ফোনগুলো প্রতি মাসের একটি নির্ধারিত দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করা হয়। আবার অন্য জেলার চুরি হওয়া ফোনও বগুড়ায় আসে।

সাধারণত চোরাকারবারীদের কাছে আগে থেকে নির্দিষ্ট মডেলের ফোনের অর্ডার (বায়না) থাকে। এ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট মডেলের ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের জন্য টেকনিশিয়ানদের কাছে নেওয়া হয়। নম্বর পরিবর্তন করে দিলে চোরাকারবারীরা ফোন ক্রেতাকে দেয়। তবে অর্ডার ছাড়াও আইএমইআই পরিবর্তন করা হয়।

চোরাই ফোন বিক্রেতা আসিফ আলিফ (ছদ্মনাম) জানান, চুরি হওয়া মোবাইলগুলো তিন মাস ধরে সংরক্ষণ করেন এই সিন্ডিকেট চক্র। এতে আইএমইআই পরিবর্তন করতে হয় না। কারণ ফোন চুরি বা হারানোর পর থানায় জিডি করলে তিন মাস পর তা (জিডি) স্বাভাবিকভাবেই তলানিতে পড়ে যায়। এরপর ফোন চালু করলেও আর কোন ভয় থাকে না। আর ফোন ডেলিভেরির ক্ষেত্রে তারা রানা প্লাজার সামনে আড্ডা দেওয়ার স্থানকে ব্যবহার করে থাকে বলে জানান আসিফ।
শহরের বাদুরতলার চক্রটি চুরি করা ফোন বিক্রিতে সবচেয়ে সক্রিয়। তাদের গ্রুপে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। যারা বিভিন্নভাবে চোরাই ফোন সংগ্রহ করে বিক্রি করেন।

কেন আটকানো যায় না আইএমইআই পরিবর্তনকারীদের?

বগুড়ার বিভিন্ন মার্কেট থেকে এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত মোবাইল মেকানিকদের আটক করে নিয়ে গেলেও যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কেন ছেড়ে দেয় এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টেকনিশিয়ান বলেন, আইএমইআই পরিবর্তন করার জন্য যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তা কম্পিউটারে ইন্সটল করে রাখতে হয় না। ব্যবহৃত ডিভাইজের সাথে এক্টিভ করা সফটওয়্যার পোর্টেবল করে জিপ ফাইলে দেওয়া হয়।

জিপ ফাইলটি আনজিপ করে ওই সফটওয়্যারটি ওপেন করলেই কাজ করা যায়। কিন্তু পুলিশ নিয়ে গিয়ে ইন্সটল করা সফটওয়্যার এবং আইএমইআই সম্পৃক্ত সফটওয়্যার খোঁজে। এসব তো সার্চ করেও পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ তা আমরা পেনড্রাইভে কপি করে রেখে দেই। এ কারণে তারা প্রমাণ না পেয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়।

সপ্তপদী মার্কেটে আরেক টেকনিশিয়ান আমাদের অনুসন্ধান টিমকে জানান, সপ্তপদী মার্কেটে হাতে গোনা একদুই জন এই কাজ করেন। তবে তারা কোন সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত কিনা তা জানা নেই। তবে কোনো ফোন ঠিক করতে গিয়ে যদি মূল আইসি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আইএমইআই নম্বর রিসেট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আইএমইআই নম্বর রিড করে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের থেকে আমরা কাজ করে নেই।

পুলিশের দাবি, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের পর তাদের আর কিছু করার থাকে না। এই ফোনগুলো চক্রের সদস্যরা বগুড়া জেলার বাহিরে তাদের গড়ে তোলা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে প্রবাসীরা বিদেশ যাওয়ার আগে এই ধরণের চোরাই ফোন ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি বগুড়ায় ফুডপান্ডার কাস্টমার সেজে অভিনব কায়দায় মোবাইল ফোন ছিনতাই, চুরি ও আইএমইআই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একাধিক ফোন ও এর যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের দাবি, এই চক্রটি আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনে দক্ষ।

গত ৩ মাসে বগুড়া সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান ১৫০ টিরও বেশি হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোন উদ্ধার করেছেন। 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জয়যুগান্তরকে বলেন, দেশের অনেকেই চোরাই এবং ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন বিভিন্নভাবে কনভিগারেশন ও আইএমইআই নম্বর চেঞ্জ করেন। অনেক ক্ষেত্রে অনলাইন প্লাটফর্মে এই মুঠোফোনগুলো বিক্রি হতে দেখা যায়। এই চক্রের সক্রিয় সদস্যদের অনেককে গ্রেফতার করেছি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এজন্য আমরা তৎপরও আছি। ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।