নিহত ফিরোজা বেগম
বগুড়ার শিবগঞ্জে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নাতির মারপিটে নানী নিহত হয়েছে।
মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে গত ১লা মে দুপুর ১২টার দিকে পৌর এলাকার চকভোলাখাঁ গ্রামের পাশে। ঐ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা দিকে বগুড়া শজিমেকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ১জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ফিরোজা বেগম আচঁলাই ডারারপাড় গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার আচঁলাই ডারারপাড় গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামের দখলীয় ১২শতাংশ জমি নিয়ে তার সহদর ভাই ছামসুল ইসলাম এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে গত ১লা মে দুপুর ১২টার দিকে চকভোলাখাঁ গ্রামের পাশ দিয়ে তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ বাড়ি ফেরার পথে তার পথ রোধ করে প্রতিপক্ষ সামছুল ইসলাম ও তার ছেলে সৈকত (২০) সহ ৫-৬জন একত্রিত হয়ে তাকে মারপিট করে ও ধাওয়া দেয়।
খবর পেয়ে এরশাদের মা ফিরোজা বেগম এগিয়ে এলে তার নাতি সৈকতগং রড ও লাঠি দিয়ে নানীর মাথায় আঘাত করলে নানী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তী করে দেয়। ঐ দিন রাত ১০টা দিকে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় রাতেই নিহতের স্বামী তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে চকভোলাখাঁ গ্রামের দছি প্রাং এর ছেলে আপেল (২৬)কে গ্রেফতার করে।
নিহদের স্বামী তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১লা মে উল্লেখিত ১২শতাংশ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের সন্মতিতে জমি পরিমাপের কথা ছিলো। সেখান থেকে ফেরার পথে আমার স্ত্রীকে সৈকত রড ও হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের অচিরেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
