Joy Jugantor | online newspaper

১৩ বছর পর মুখ খুললেন সানিয়া মির্জা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১১ মে ২০২১

১৩ বছর পর মুখ খুললেন সানিয়া মির্জা

ফাইল ছবি।

দীর্ঘ টেনিস জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। তবে বেজিং অলিম্পিক্স থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারেন না সানিয়া মির্জা। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সের মাঝপথ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন টেনিস সুন্দরী। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় টেনিস মহলে ঝড় বয়ে গেলেও মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। তবে এত বছর পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটা খোলসা করলেন সানিয়া।

একটি ইউ টিউব চ্যানেলে সানিয়া বলেন, “প্রত্যেক ক্রীড়াবিদ দেশের হয়ে খেলতে নামলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমিও সেই মানসিকতা নিয়ে বেজিং অলিম্পিক্সে শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডান হাতের কব্জির যন্ত্রণা খুব ভোগাতে শুরু করে। তখন আমার সবে ২০ বছর বয়স। সেই ঘটনার আগে পর্যন্ত জীবনে সব কিছু বেশ ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু সে বারের চোট আমাকে মানসিক ভাবে আরও পিছনে ঠেলে দেয়। শুধু কাঁদতাম। প্রায় এক মাস খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। প্রায় তিন-চার মাস নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখার জন্য মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলাম।

সে বার মহিলাদের সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডে সানিয়ার বিপক্ষে ছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইভেটা বেনেসোভা। সেই ম্যাচে ২-৬ ব্যবধানে প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেটে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন সানিয়া। ঠিক সেই সময় তাঁর ডান হাতের কব্জির ব্যথা বাড়তে থাকে। ফলে খেলা থেকে নাম তুলে নেওয়ার সঙ্গে অলিম্পিক্স থেকেও সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সেই ঘটনার রেশ এখনও তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তবে ২০০৮ সালের ওই ঘটনা যে তাঁকে শিক্ষা দিয়েছে, সেটাও মনে করেন তিনি। তাই সানিয়া বলেন, “মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলোর উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এখন বয়স বেড়েছে। তাই মনে হয় তখন অবসাদে চলে গিয়ে নিজের ক্ষতি না করলেও চলত। আসলে কম বয়সে পরিচিতি পেয়ে যাওয়ার জন্য সবাই বাড়তি আশা করেছিল। সেটা পূরণ করতে না পারার জন্যই হয়তো এতটা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম।”