Joy Jugantor | online newspaper

ব্রডব্যান্ড ব্যবসায় বৈধর চেয়ে অবৈধ সংযোগদাতা বেশি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৯ নভেম্বর ২০২১

ব্রডব্যান্ড ব্যবসায় বৈধর চেয়ে অবৈধ সংযোগদাতা বেশি

প্রতীকী ছবি।

দেশে ব্রডব্যান্ড ব্যবসায় অবৈধ সংযোগদাতার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বিপরীতে বিটিআরসি'র তথ্য অনুযায়ী নিবন্ধিত সংযোগদাতার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

রাজধানীর বাড্ডায় প্রোলিফিক অ্যানালিটিকস লিমিটেড। সফটওয়্যার তৈরির এই প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের জন্য মাসে ৪০ এমবিপিএস স্পিডের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। গ্রাহক হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি সুখকর নয়।

ইন্টারনেটের গতি পরিমাপক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওকলা স্পিডটেস্টে দেখা গেছে, ব্রডব্যান্ড সেবায় বিশ্বের ১৮১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬তম। এমন অবস্থানের জন্য দায়ী কারা? 

রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়া। ধূলামলিন দোকানটি দেখে বুঝার উপায় নেই এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অফিস। যারা আছেন অফিসে, সেবাদান বিষয়ক প্রশ্নোত্তরে পাওয়া গেলো অসঙ্গতি।

আইনে বলা আছে, ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের মাঝে ব্যান্ডউইথ শেয়ার করতে পারবে না। তাই খন্দকার নেটওয়ার্কের কার্যালয় খুঁজতে যাওয়া হয় পশ্চিম শেওড়াপাড়ায়। শুরুতে নিজের আর প্রতিষ্ঠানের নাম স্বীকার করলেও ব্যবসা প্রসঙ্গ আসতেই পাল্টে দিলেন পরিচয়। জানালেন, তিনি অন্য এক প্রতিষ্ঠানের কর্মী।

অর্থাৎ বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তবে খন্দকার নেটওয়ার্কের কাছে কাগজ বলতে আছে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধনের আবেদনপত্র। যে কাগজ নিয়েই অন্য অনেক অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবসা করছেন তারা।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, যতগুলো লাইসেন্স আছে তার সমপরিমাণ যদি অবৈধ আইএসপি থাকে সেটা দুর্বৃত্তায়ণ ছাড়া আর কিছু নয়, তাই সেগুলো বন্ধ করা না হলে এ সেক্টর বিপদের মুখে পড়বে।   

এ ধরনের দুর্বৃত্ত ছড়িয়ে আছে সারা দেশে। আছে একই এলাকায় একই নামে ভিন্ন দুই প্রতিষ্ঠান। পরিচয় জানতে গেলেই হয়ে যান বৈধ কোনো আইএসপি'র কর্মী।

তাহলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন কী করছে? ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আমিনুল হাকিম জানান, আড়াই থেকে তিন হাজারের ওপরে অবৈধ সংযোগ দাতা আছে। আমাদের কাছে যখন কোনো অভিযোগ আসে সেটা আমরা বিটিআরসিকে অবহিত করি। 

আইএসপিএবি'র অভিযোগের সত্যতা কতখানি, কিইবা নেয়া হলো ব্যবস্থা, জানতে বিটিআরসি কার্যালয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসির) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা যাদের বৈধ লাইসেন্স নাই তারা অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। আর সার্বিক বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বক্তব্য নেয়া চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

ব্রডব্যান্ড ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফেরা ফেরাতে সেপ্টেম্বর থেকে এক দেশ এক রেট পদ্ধতিও ঘোষণা করেছিলো বিটিআরসি।