Joy Jugantor | online newspaper

সরকারকে বিদায় করা ষড়যন্ত্র নয়, নৈতিক দায়িত্ব : গয়েশ্বর

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:১৬, ১৯ আগস্ট ২০২২

সরকারকে বিদায় করা ষড়যন্ত্র নয়, নৈতিক দায়িত্ব : গয়েশ্বর

সংগৃহীত ছবি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। সরকার বলছে, আমরা ষড়যন্ত্র করছি। সরকারকে বিদায় দেওয়া ষড়যন্ত্র নয়, এটি দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, বিনা অপরাধে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল দেওয়া হয়েছে। আর কি করার বাকি আছে। তাহলে আমাদের কি গা বাঁচিয়ে কথা বললে চলবে? সুতরাং ভাগ্য যেহেতু আমাদের সবার সমান, ভাগ্য পরিবর্তনেও সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ এক যুগ ধরে অধিকারবিহীন। জনগণ আজ শোষিত। এই শোষণ কীভাবে হচ্ছে? জনগণের টাকা লুটপাট করে। এই যে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এসব টাকা জনগণের।

বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশটা কোনো সেমিনারে স্বাধীন হয়নি, আদালতের রায়ে স্বাধীন হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। সুতরাং রাজনৈতিক যত সিদ্ধান্ত, সেটা জনগণ নেবে। সেটা আদালত নিতে পারে না। মানুষ কখন সংগ্রাম করে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে, যখন তারা বুঝতে পারে, তারা শোষিত হচ্ছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আইন করেছেন বিদেশ থেকে অবৈধ টাকা আনার জন্য। আইন করে কখনো টাকা আনা যায় এটা আমি শুনিনি। যে দেশের ব্যাংক, সরকার, তারা চাইলে একমাত্র টাকা ফেরত আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, ধনী হওয়া অপরাধ না। সৎ পথে ধনী হলে সমস্যা নেই। কিন্তু এই টাকা অবৈধ। এই টাকা যদি দেশে বিনিয়োগ হতো, কর্মসংস্থান হতো। আমরা যদি নির্বাচন না করি, এই সরকারকে কে রাখবে?

আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহম্মেদ আজম খান বলেন, এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এটা সরকার বুঝে ফেলেছে। বুঝে তারা আবোল তাবোল বলছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পালানোর জন্য অলিগলিও খুঁজে পাবে না। আমরা অলিগলিতে দৌড়ানোর দল নয়, আমরা রাজপথের দল। রাজপথে থাকব।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। গতকাল বললেন, ভারত সরকারকে বলেছি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, তাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই। দুদিন আগে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, আমরা বেহেশতে আছি। তিনি একদম ঠিক বলেছেন। তারা বেহেশতেই আছেন। কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি বাসে ওঠেন, ট্রেনে ওঠেন, রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ আওয়ামী লীগকে চায় না। দুদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, বাংলাদেশে একবারে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো সব জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম সভাপতিত্বে মুহাম্মাদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ সহ নেতারা।