Joy Jugantor | online newspaper

পুলিশকে ছুরিকাঘাত: আ. লীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৬ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৬:৩৮, ৬ এপ্রিল ২০২১

পুলিশকে ছুরিকাঘাত: আ. লীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

চারমাথায় সংষর্ষের সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল। ফাইল ছবি

বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঘটনা সংঘর্ষে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জয়যুগান্তরকে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালম আজাদ। 

তিনি বলেন, এই মামলায় মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, যুবলীগ নেতা আদিলসহ সাত জনের নাম রয়েছে। 

বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী পুলিশ পরিদর্শক মো. নান্নু খান, অপর দুটির বাদী সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মোটর মালিক গ্রুপের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অন্যটির বাদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ভাই মশিউল আলম। প্রায় দেড় মাস তদন্ত শেষে পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য তিনটি মামলার তদন্ত চলমান। 

পুলিশের করা মামলায় যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিলকে এক নম্বর আসামী করা হয়েছিল। মশিউল আলমের করা মামলায় আমিনুলকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতি করে পরবর্তীতে ধরা খেয়ে কারাগারে রয়েছেন আমিনুলসহ ৩০ জন। 

আমিনুল ইসলামের করা মামলায় এক নম্বর আসামী করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মোহনকে। এই মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ২০০ জনকে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সিস্ফোরণ, অবৈধ দখলবাজিসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগুড়া জেলা মটর মালিক গ্রুপের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য রমজান আলীসহ অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হন। বগুড়ার চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গত তিন বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা মটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন। আরেক গ্রুপে রয়েছেন বগুড়া আমিনুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে বগুড়া জেলা মটর মালিক গ্রুপের একটি নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আকতারুজ্জামান ডিউক সভাপতি ও আমিনুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।  তখন থেকে এই ভোটকে অবৈধ দাবি করে আসছেন মঞ্জুরুল আলম মোহন। তার দাবি, কোনো আইন কানুন না মেনেই নির্বাচন করা হয়েছে। এরপর আদালতে গড়ায় বিষয়টি।